রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকের প্রতি অবমূল্যায়ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকের প্রতি অবমূল্যায়ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৯৭২ সালের জাতীয় পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী, জাতীয় ও বিশেষ দিবস ছাড়াও প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিসসমূহে, যেমন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে, কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক। তবে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই বিধিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিধি মালার তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশি মতো চালাচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সবকিছু। সরোজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পতাকা উত্তোলনের নির্ধারিত স্থানে শুধু একটি পাইপ দাঁড়িয়ে আছে। তাতে নেই কোন পতাকা। সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ঢুকেছে এই কথা শুনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা তড়িঘড়ি করে সাড়ে ১২ টার সময় একটি পতাকা উত্তোলন করছে দেখা যায়। সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্রভাষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন,অফিস টাইমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমূল্যায়ন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় একাধিক অটো রিক্সা চালকরা জানান, এই হাসপাতালে নিয়মিত কোন দিনই পতাকা টানায় না। সপাতালে সাংবাদিকদের আসা দেখেই বেলা সাড়ে ১২ টার সময় তড়িঘড়ি করে পতাকা উড়াচ্ছে মালি লুৎফর রহমান। সাংবাদিকরা আজকে হাসপাতালে না আসলে আজকেও পতাকা টানানো হতো না। এই হাসপাতালে যারা চাকরি করে তাদের খেয়াল খুশির মতোই সবাই চলে। সরকারি কোন আইন কানুন এরা ফলো করে না। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া জানান, নিয়মিত পতাকা টানানোর নিয়ম আছে কি না বিধিমালা দেখে আপনাকে জানানো হবে। আজ আমি অফিসে নেই আপনি আগামীকাল আসুন আমি বিধিমালা দেখে আপনাকে জানাবো।