যশোরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু ২৯ অক্টোবর থেকে

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর , ২০২৩ ১৪:০৪ আপডেট: ২৫ অক্টোবর , ২০২৩ ১৪:০৪ পিএম
যশোরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু ২৯ অক্টোবর থেকে
পৌরএলাকা পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধা নিরসনও মশা নীধন কার্যক্রমের বিষয়ে ক্রটি নানান সমালোচনা মিরাজুল কবীর টিটো সদর উপজেলা প্রতিনিধি যশোর পৌরএলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন করা হবে। দেশ ব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পৌরএলাকা পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধা নিরসনও মশা নীধন কার্যক্রমের বিষয়ে ক্রটি নানান সমালোচনা মিরাজুল কবীর টিটো সদর উপজেলা প্রতিনিধি যশোর পৌরএলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন করা হবে। দেশ ব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে। ২৯ অক্টোবর থেকে একার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে পৌরসভার ড্রেনের ব্যবস্থা পরিচ্ছন্নতার কাজ ও মশা নির্ধন কার্যক্রমে বিষয়ের ক্র্যুটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে জেলা ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাপতির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন, একাকদিন একটি ওয়ার্ডে প্রচার অভিযান শুরু করতে হবে। ওই ওয়ার্ডে মাইকিং করা সহ লিফলেট বিতরণ করতে হবে ওয়ার্ড বাসির মধ্যে । যাতে তারা ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন হয়। সেই সাথে পরিচ্ছন্নতার কাজও করতে হবে। কোন ওয়ার্ডে কবে যাবে এটা সিদ্ধান্ত নেবে পৌরসভা।

যশোর পৌরসভার পাশাপাশি জেলার অন্য পৌরসভায় একার্যক্রম করার জন্য অনুরোধ করা হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালন মঞ্জুরুল হক বলেন, পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে তার অফিস। কিন্তু সেখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক। বৃষ্টি হলেই অনেক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই সাথে ড্রেনের ময়লা অফিস নোংরা হয়ে যায়। ওই ড্রেন যদি ভাল করে গভীর করে পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এসমস্যা হবে না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফিরোজ কবীর বলেন, যে ভাবে করোনা যশোর বাসি মোকাবেল করেছিল। সে ভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করতে হবে। এজণ্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের মাঝে সচেনতা বাড়াতে হবে।এ কাজ শুধু পৌরসভা করলে হবে না। প্রত্যেকেরই উচিত নিজ বাড়ি ও অফিস আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখা। শুধু যশোর পৌরসভায় নয় প্রত্যেক উপজেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশীদ বলেন, যশোর জেলা যত মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে । তার অর্ধেক রোগীকে হাসপাতালে সেবা দেয়া হয়েছে। এপর্যন্ত ১হাজার ৬২০জন রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে। তিন মাস ধরেন এ রোগে আক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। জেলায় কমেনি। এজন্য পৌরসভার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসরাম বলেন, পৌরসভাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংশ করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রতিবছরই ডেঙ্গুর প্রভাব বৃদ্ধি পায়। কি কারনে এটা বৃদ্ধি পায় সেটা সনাক্ত করতে হবে। সেই সাথে বার মাস ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বীরমক্তিযোদ্ধা মুযহারুল ইমলাম মন্টু বলেন বৃষ্টি হলে ড্রেন দিয়ে পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়। নতুন ড্রেন করেছে তাতে পানি উল্টো দিকে যায়। জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়। পৌরসভা শুধু স্প্রে করে ধোয়া উড়ায়, ঠিকমত মশা মরে না। তবে এক সপ্তাহ প্রচারনা ও পরিচ্ছন্নতার প্রক সপ্তাহ শেষ হলে মনিটরিং করতে হবে। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ডেঙ্গু মশা ও মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য পৌরসভা থেকে ডোবল এ দিয়ে লার্ভা ধ্বংস এগোমাইশিন দিয়ে মশা নির্ধন করা হয়। তবে কোন ওয়ার্ডের পুকুরে যদি কচুড়ীপনা থাকে। সেখানে স্প্রে করে কোন লাভ নেই।

প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমার মিলন বলেন, ওয়ার্ড ভিত্তিক ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন করলে ভাল হয়। পৌরসভা থেকে সার্ভে করে ডেঙ্গু মশার লার্ভা সনাক্ত করে ধ্বংস করতে হবে। একাজে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করতে হবে। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহম্মেদ বলেন বর্ষা হলে পানি জমলে পরিষ্কার করে দেয়া হয়। পৌরসভার পানি হরিণার বিলে পরে, ড্রেন পরিষ্কার আছে। পানি আস্তে আস্তে যায়। আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বড়বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মীর মোশারর হোসেন বাবু, ফটো সাংবাদিক রতন সরকার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসির,সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo