গুণে গুণে মার্বেল সংগ্রহ করছেন ইউএনও ও সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এরপর সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন মার্বেল খেলায়। সেই মার্বেল খেলায় শিক্ষকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন ইউএনও। আয়োজক কমিটি প্রথম পুরস্কার হিসাবে ইউএনও’র হাতে তুলে দেন চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।মার্বেল খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওই ইউএনও হলেন¬ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আয়োজক কমিটি ইউএনও’র হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন।ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ বলেন, গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলার সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে আজকে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবে আমি আসি অতিথি হয়ে। এখানে এসে আমি শিক্ষকদের সাথে মার্বেল খেলা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। খুব ভালো লেগেছে, মনে হয় খানিকটা সময়ের জন্য শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। আমি মনে করি এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা থাকলে নতুন প্রজন্মকে মোবাইল আসক্তি, ভিডিও গেম ও ডিজিটাল ডিভাইসের নেশা থেকে অনেকটাই দূরে রাখা যাবে।গৌরীপুর পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, আমি অল্পের জন্য ইউএনও সাহেবের কাছে হেরে গেছি মার্বেল খেলায়। আমি রানার আপ হয়েছি। তৃতীয় হয়েছে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মালেক।এর আগে স্বেচ্ছসেবী সংগঠনগৌরীপুর রক্তদান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলা পরিষদের প্রাচীন দ্বীপে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই ক্রীড়া উৎসবে গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলার সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে মার্বেল, কুতকুত, টায়ার দৌড়, দায়রাবান্দা, কানামাছি, মোরগ লড়াই, ফুলটুক্কা, নই সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়গৌরীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আহমেদ বৃষ্টি বলেন, আমরা ছোট বেলায় কুতকুত খেলেছি। প্রায় ১৫ জনকে হারিয়ে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি জিতেছি। আমি খুব আনন্দিত।গৌরীপুর রক্তদান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আশিকুর রহমান রাজীব বলেন, আমাদের সংগঠনে প্রায় তিন শতাধিক রক্তদাতা রয়েছে। যারা জরুরী প্রয়োজনে রক্তসংগ্রহ ও রক্তদান করে থাকে। প্রতিবছর আমরা তাদের নিয়ে চড়–ইবাতির আয়োজন করি। তবে এবারের চড়–ইবাতিতে ব্যতিক্রম কিছু তাড়না থেকেই আমরা গ্রামীণ খেলাগুলো আয়োজন করেছি।