রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় যোগদানের পর থেকেই সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছেন নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
জানাগেছে,, অপরাধ দমনের মাধ্যমে উপজেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একজন কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তায় পরিণত হয়েছেন। সন্ত্রাস, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, মাদক, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, আইন-শৃঙ্খলা শান্তি-রক্ষা, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক অপরাধ থেকে গোয়ালন্দ উপজেলাকে অপরাধমুক্ত করতে নানান কৌশল অবলম্বন করে মাত্র আট মাসের মধ্যেই উপজেলাবাসীর কাছে জনপ্রিয় ওসি হিসাবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। তিনি হয়ে উঠছেন গোয়ালন্দ উপজেলার প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা। জনসেবায় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি যেন সকলের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। উপজেলায় অপরাধ দমনে সার্বিক নিরাপত্তাদান ও কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশিং সেবার মানকে মানুষের কল্যাণে পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিট পুলিশিং কমিটি ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন অপরাধ ও সমস্যা মোকাবেলা করে পুলিশি সেবার মান সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিয়ে এরই মধ্যে তিনি সবার কাছে সমাদৃত হয়েছেন।ওসি রাকিবুল ইসলাম তাঁর সু-কৌশলী দক্ষতায় জনগনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলে ‘পুলিশ জনগনের সেবক, সেবাই পুলিশের ধর্ম, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গোয়ালন্দ বিভিন্ন অপরাধ মুক্ত করে আধুনিক থানায় পরিণত করতে তিনি এবং তার অধিনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ যে জনগনের সেবক এটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। তিনি ওসি হিসাবে ১৩ আগস্ট ২৪ইং যোগদানের পর থানাতে দালালি লক্ষনীয় ভাবে কমেছে। তার আতঙ্কে গা ডাকা দিয়েছে মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধীরা। বন্ধুসুলভ জনমুখী ও হাসিঁমুখে সেবা দেয়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি দিন দিন বাড়ছে। পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেকটা শান্তিতে জীবন যাপন করছেন গোয়ালন্দ উপজেলাবাসী। সুদক্ষ ওসি তাঁর কৌশলী বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অপরাধ দমনের ফলে জনমনে শান্তি বিরাজ করছে। গোয়ালন্দ থানা পুলিশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল এলাকা ও মসজিদ-মাদ্রাসায় মুসল্লিদের মধ্যে সচেতন মুলক দিক নির্দেশনা দিয়েথাকেন। সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ, মাদক, বেদখল জমি, জুয়া, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন অপরাধ থেকে গোয়ালন্দ উপজেলাকে মুক্ত রাখতে নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এর সুফল ভোগ করছেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। বিশেষ করে ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম গোয়ালন্দ থানায় যোগদানের পর অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। সে কোন কিছুর তক্কা না করে নিরলস ভাবে কাজ করে সফলতা অর্জন করে যাচ্ছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আট মাসে ১০৫টি মাদক মামলায় ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।মাদক উদ্ধার করেছে ২৬০ গ্রাম হেরোইন ১৪২৯ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটও১ কেজি১০ গ্রাম গাঁজা,৩৩৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৭.৭৫ লিটার দেশিও বিদেশী মদ। অস্ত্র মামলার সংখ্যা ৫টি ,অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার ৭ জন,অস্ত্র মামলায় উদ্ধারকৃত অস্ত্রের পরিমান লোহার তৈরী একটিদা,একটি ধারালো চাকু, একটি স্টিলের সুইচ গেয়ার চাকু,১টি লোহার তৈরী পুরাতন রিভালবার,ও ৫টি গুলি, ১টি ৭.৬৫বিদেশী পিস্তল টেগার ও ফায়ারিংপিন সংযুক্ত,১টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ৩রাউন্ড গুলি,১টি লোহারও কাঠের তৈরী এয়ারগান, ১টি লোহার তৈরী দেশীয় একনলা পাইপ গান,২টি তাজা কাতুজ। ডাকাতি প্রস্তুত মামলার সংখ্যা ৩টি , ডাকাতি প্রস্ততি মামলায় গ্রেফতার ১২ জন, ডাকাতি প্রস্ততি মামলায় উদ্ধার ২টি লোহার দা, ২টি স্টীলের চাকু,১টি পুরাতন ছোট পিকাআপ গাড়ি,১টি লোহার চাপাতি,১টি সিলাই রেঞ্জ,১টি এ্যামোনিয়াম পাইপ,১টি সুইচ গেয়ার চাকু।খুন মামলায় সংখ্যা ৭টি,খুন মামলায়২৩ জন গ্রেফতার এব মোবাইল কোর্টে আসামীর সংখ্যা ৩০ জন।
উলেখ্য: যোগ্য হারে নারী ও শিশু নিযার্তন মামলায় কমেছে। কাজেই অভিযোগ পেলেই পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় কমিনিটি পুলিশ ও নাগরিক কমিটির মাধ্যামে সমাধান করে থাকে।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন,এই থানায় আমি যত দিন আছি এই উপজেলায় কোন রকম আইন-শৃঙ্খলের অবনতি হতে দেব না। কোন অন্যায় অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমার জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আমি এই উপজেলার মানুষকে সর্বোচ্চ পুলিশী সেবা প্রদান করিবো।