প্রচন্ড গরমে শরীরকে শীতল করার জন্য নির্ভেজাল কেমিক্যাল মুক্ত মহিষের দুধের কাঁচা দই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে হাটবাজারে সাপ্তাহিক বাজারের দিনগুলোতে হরহামেশাই পাওয়া যায়। বিক্রিও ভালো। দই বিক্রেতারা জানান সপ্তাহে কয়েক শত মন দই বিক্রি হয়ে থাকে। বিশেষ করে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে বিয়ে-শাদী, ছুন্নতে খতনা, বাড়িতে মেহমানদের খাবার শেষে মহিষের কাচা দুধের দই না দিলে খাবারের জৌস মিটে না।বকশিগঞ্জ উপজেলা নঈম মিয়ার হাটে সাপ্তাহিক শনিবার ও মংগলবার, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাওনিয়ারচর বাজার, তারাটিয়া বাজার, ইসলামপুরের ঝগরারচর বাজার, সানন্দবাড়ি বাজার, ধনুয়াকামালপুর বাজারসহ অনেক এলাকায় মহিষের কাঁচা দুধের দই বিক্রি হয়। খেতেও অনেক সুষাধু।দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, শ্রীবদ্দী উপজেলায় গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে মহিষ পালন করা হয়। একটা মহিষ ১০ থেকে ২০ কেজি দুধ দিয়ে থাকে।তাছাড়া মহিষের দুধ থেকে ঘি উৎপাদন সহ নানা জাতের মিষ্টান্ন তৈরী করা হয়। চরাঞ্চলে মহিষ লালন পালন করা লাভজনক ব্যবসায় পরিনত হয়ে উঠছে। সরকারি সহায়তা পেলে কৃষকরা আরো লাভবান হবে বলে সচেতন মহল আশাবাদী।