কাঠালিয়ায় গভীর রাতে অসহায় শীতার্তদের ঘরে ঘরে কম্বল পৌছি দিচ্ছেন ইউএনও

মোঃ ফয়সাল আহম্মদ প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী , ২০২৫ ১৪:৫৬ আপডেট: ৭ জানুয়ারী , ২০২৫ ১৪:৫৬ পিএম
কাঠালিয়ায় গভীর রাতে অসহায় শীতার্তদের ঘরে ঘরে কম্বল পৌছি দিচ্ছেন ইউএনও
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও রাস্তা-ঘাটের ভাসমান ছিন্নমূল দরিদ্র শীতার্ত মানুষের ঘরে ঘরে কম্বল পৌঁছে দিচ্ছেন ঝালোকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম।

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও রাস্তা-ঘাটের ভাসমান ছিন্নমূল দরিদ্র শীতার্ত মানুষের ঘরে ঘরে কম্বল পৌঁছে দিচ্ছেন ঝালোকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম। গত এক সপ্তাহ যাবৎ কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের চাঁন্দের হাট, আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া, পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোরখালী ও চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের জোড়পোল আশ্রয়ণ প্রকল্পের শীতার্ত দরিদ্র ও রাস্তা-ঘাটের ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। শীতের রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে ইউএনও জহিরুল ইসলাম নিজ হাতে কম্বল পৌছে দেয়ায় দরিদ্র মানুষেরা আনন্দিত। কম্বল বিতরণে এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান বিন ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহমাদুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আউরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোঃ চুন্নু হাওলাদার বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করি। শীতে গরম কাপড় না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। আজকে রাতের বেলায় ইউএনও স্যার আমার ঘরে এসে নতুন কম্বল দিয়েছেন, আমি তাতে খুশি। জোরপুল আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা-লিপি বেগম বলেন, ইউএনও স্যার রাতের বেলায় আমাদের এখানে এসে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পরে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে কম্বল দিয়েছেন। আমরা কম্বল পেয়ে সবাই খুশি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে এই অঞ্চলে শীত পড়ছে। অনেক দরিদ্র মানুষের শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। এমন শীতার্ত, আশ্রয়ন প্রকল্পের দরিদ্র ও রাস্তা-ঘাটের ভাসমান, ছিন্নমূল মানুষকে আমি নিজ হাতে কম্বল ঘরে পৌছে দিচ্ছি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo