মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কচিখালী স্টেশন এলাকায় প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের যৌথ টিম এই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
সুন্দরবনের খাল থেকে এ বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫৫ কেজি ওজনের এ পুরুষ বাঘটির বয়স হয়েছিল ১৫ বছর।
ময়নাতদন্ত অংশ নেওয়া মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইউনুছ আলী বলেন, বাঘটির শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বন বিভাগের ধারণা – বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করে বনরক্ষীরা।সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহবুব হাসান জানান, কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকার টাইগার পয়েন্টের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ধারণা করছি যে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। বাঘটির মরদেহের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো রাজধানীস্থ বনবিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখানকার রিপোর্টে বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাহেব আলী জানান, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুন্দরবনের কচিখালী স্টেশনে গিয়ে মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত করেছেন। বাঘটির মরদেহের প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।
খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, বাঘটির দেহাবশেষ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুন্দরবনের করমজল গবেষণাকেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হবে। সেখানে করমজল ইন্টারপ্রিটেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বাঘটি।