ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা মেহারী ইউনিয়ন চৌবেপুরতে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক এক সেনা সদস্য পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা মেহারী ইউনিয়ন চৌবেপুরতে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক এক সেনা সদস্য পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখিয়া সাবেক সেনা সদস্য চৌবেপুর গ্রামের মৃত আঃ আজিজি পুত্র আবু ছালেক কে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই সেনা সদস্য ছেলে সাখাওয়াত বাদী হয়ে এগারোজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর এলাকায় গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে সাবেক সেনা সদস্য আবু ছালেকের সাথে একই এলাকার আবু সামা পক্ষীয় লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে সাবেক সেনা সদস্য আবু ছালেক নিজ বাড়ী হইতে চৌবেপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে বাড়ী সংলগ্ন রাস্তা সামনে থেকে আবু সামা নেতৃত্বে আরও ১০-১২ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবু সালেকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আবু ছালেকের পা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবু ছালেকের পায়ের মূল হাড় ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করে দেয় বলে কসবা থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পাল্টা পাল্টি একটি নারী নির্যাতন কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়ে উভয় পক্ষ লোকজন কোর্ট কৃর্তৃক জামিন নিয়ে এলকায় অবস্থান করেছেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবু সামা সাংবাদিকদের বলেন সামাজিক মতবিরোধ জেরে এই ঘটনা ঘটে, আমাদের ব্যক্তিগত আবু ছালেকের সাথে কোন দন্দ নাই, চৌবেপুর গ্রামের আজিজুল হকের পত্র নোয়াব ও শরীফ তাদের দুই ভাইদের মধ্যে লেনদেন সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আমাদের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল কাদের ’ বলেন, ‘মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।’