নওগাঁর ধামইরহাটে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ধামইরহাট পুলিশ। মৃতের পরিবার হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী শাশুড়িসহ ৪ জনকে আসামী করে ধামইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী আয়না আক্তার মহসিনা আক্তার (৩২) ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোর রাতে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান গ্রামের স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ কে খবর দেয়। সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী জানায় প্রায় আয়না আক্তারের সাথে শাশুড়ীর মাঝে ছোট খাটো বিষয়ে বিরোধ লেগে থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে সে আত্মহত্যা করতে পারে। আয়না আক্তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন। আয়না আক্তারের বাবার বাড়ী পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার দিবর খান্দই গ্রামে। তার পিতার নাম সলিমউদ্দিন। মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ অভিযোগ করেন আমার ভাতিজিতে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনা ধামা চাপা দিতে গাছে ঝুলানো হয়েছে। তবে পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উমার ৪ নং ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার মামুনুর রেজার সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা বিষয়টি সকালে জানতে পারি পাওয়ার পরেই যে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে মেয়ের চাচা তখন থেকেই তারা পলাতক তাদেরকে এই পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই তাদের বসতবাড়ি দেখার মত কেউ নাই তবে আমি জনপ্রতিনিধি এলাকার মেম্বার হিসেবে আমার যতটুকু দায়িত্ব আমার লোক দিয়ে তাদের বাড়ি পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসি মো.হাবিবুর রহমান সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ব্যাপারে মেয়ের চাচা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে বলে জানান তিনি।