যশোরের অভয়নগরের শুভরাড়া খেয়াঘাটের নির্মাণাধীন যাত্রী ছাউনি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ১৫ এপ্রিল গভীর রাতে ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটেছে। সূত্র জানায়, গভীর রাতে কে বা কারা ওই নির্মানাধীন যাত্রী ছাউনি ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আরো জানা যায়, শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলাম কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে ওই যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছিলো। কিন্তু ওই যাত্রী ছাউনি নির্মাণে একটি পক্ষ বাঁধা সৃষ্টিসহ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রচারে লিপ্ত থাকে। যে কারনে গত ১১ এপ্রিল চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ও এলাকার কিছু সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নওয়াপাড়ায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উল্লেখ ওই যাত্রী ছাউনি কেন্দ্রীক বেশকিছু দিন ধরে শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের সাথে উত্তেজনা চলমান থাকা অবস্থায় ওই যাত্রী ছাউনি কে-বা কারা ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো। সৃষ্ট ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক সরেজমিনে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়। এবিষয়ে ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করছিলাম যা কে-বা কারা রাতের আধারে ভেঙে দিয়ে গেল, আমি এর সঠিক ন্যায় বিচার চায়। থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ করিনি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা এসেছিলো ঘটনা দেখে গেছে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিবে বলে আমাকে জানিয়েছেন। এবিষয়ে অভয়নগর থানার বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রাইসুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা স্থানে গিয়েছিলাম দেখে আসছি কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনো আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।