নতুন দেশ গঠনে ৯ দফা পরিকল্পনা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১১ আগস্ট , ২০২৪ ১৮:১৩ আপডেট: ১১ আগস্ট , ২০২৪ ১৮:১৩ পিএম
নতুন দেশ গঠনে ৯ দফা পরিকল্পনা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন। গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত জনতা শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিমিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার ও নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যায় ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বিকালে শহরের ভৈরব চত্বরে এই সমাবেশ হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন। গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত জনতা শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিমিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের।

এই যুগ সন্ধিক্ষণে নেতৃবৃন্দ আগামি বাংলাদেশ গড়ার ৯ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পরিকল্পনাগুলো হলো-বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে

হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বিগত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।

সমাবেশে প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বরাবরই দেশের মানুষের নায্য দাবিতে আন্দোলন করেছে। দেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। দল বল নির্বিশেষে একটি সাম্য সামাজিকের দেশ গঠনে সবাইকে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতে আসার আহ্বান জানান। এসময় তিনি কোটা আন্দোলনে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলার সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবু নসর, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রশিদ, প্রচার-দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি কামরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মুফতি মঈন উদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী সহিদুল ইসলাম, সদর থানার সভাপতি আখতারুজ্জামান, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা সভাপতি ইমরান হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo