সান্তাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এখন বৈষম্যবিরোধী কমিটিতে

মোঃ এরশাদ আলী প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৭:০৮ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৭:০৮ পিএম
সান্তাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা এখন বৈষম্যবিরোধী কমিটিতে
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠিত ওই  কমিটিতে তাকে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রাখা হয়। আর এতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন উক্ত কমিটির দায়িত্বরতা। অপরদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্মুখ সারির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কমিটিতে স্থান পাওয়া ওই নেতার নাম মেরাজ হোসেন। তিনি সান্তাহার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। এবং সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার আদর্শ পাড়ার মিঠুর ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার কলেজে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ করে আসছিলেন মেরাজ হোসেন। ২০২৩ সালে সান্তাহার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজন কান্দিদাসকে সভাপতি ও রাফিউল ইসলাম বাঁধনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের স্বাক্ষরিত একপত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি তালিকায় ২৯ নাম্বারে উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেরাজকে। এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে খোলস পাল্টে দল বদল করে। পরে ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী 

নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন৷ আস্তে আস্তে তাদের মন জয় করে বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে স্থান নেয়। গত ৩০ জানুয়ারি বগুড়া জেলা শাখায় গঠিত কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাকে রাখা হয়। ফলে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ করতো। দল পরিবর্তনের সঙ্গে সেও নিজেকে পরিবর্তন করেছে। তার ছাত্রলীগ করা নাম তালিকা রয়েছে। দলীয় প্রোগ্রামে রবিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরদের সাথে কাজ করতো। পরে বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে নাম দেখে হতভাগ হয়েছি। অভিযুক্ত মেরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি। বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহবায়ক মাহমুদুল হাসান জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের গঠিত কমিটিতে আছে। যদি ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে নাম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo