রাজশাহীর তানোরে বিদ্যুৎ বিল বেশি নেওয়ার প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। ক্ষুব্ধ জনতা রবিবার (২৯জুন২০২৫) তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর তানোর অফিসের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) মো. আমিনুল ইসলাম পালিয়ে রক্ষা পান।
সকালে কয়েকশত গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জড়ো হন। তারা অভিযোগ করেন, চলতি মাসে আগের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বিল এসেছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অযৌক্তিক।
স্থানীয় এক গ্রাহক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন গত মাসে আমার বিল ছিল ৬৫০ টাকা, আর এবার এসেছে ১৮৫০ টাকা। বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়েনি, তাহলে বিল এত বাড়লো কীভাবে? অন্য আরেকজন, গৃহিণী সালমা খাতুন বলেন,এই বিল দিয়ে কীভাবে চলবো? অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন।বিক্ষুব্ধ জনতা 'দুর্নীতিবাজ অফিসার হটাও', 'অতিরিক্ত বিল বাতিল করো' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে অফিস ঘেরাও করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ডিজিএম আমিনুল ইসলাম পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
এ সময় উত্তেজিত জনতা অফিস চত্বরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রাহকদের উচিৎ প্রশ্নের মুখে ডিজিএম আমিনুল ইসলাম বিব্রত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত জনতার চাপ সামলাতে না পেরে দৌড়ে অফিস ত্যাগ করেন।
গ্রাহকদেরদাবিসমূহ:অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত বিল যাচাইয়ের সুযোগ রাখতে হবে।ভোক্তাবান্ধব সেবার নিশ্চয়তা দিতে হবে।পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বক্তব্য:
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি হয়তো মিটার রিডিং বা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমান লিয়াকত বলেন“বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তানোরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ যদি দ্রুত সমস্যার সমাধান না করে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের আন্দোলনের আশঙ্কা রয়েছে।