পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জননিরাপত্তা বিধান এবং আইন-শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে পুলিশী কার্যক্রম জোরদার করা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চলমান পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশ যশোর উদ্যোগে গৃহীত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ঈদ বাজারের নিরাপত্তা বিষয়ক এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার (সাময়িক দায়িত্বে) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী ।
এসময় তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের পাশাপাশি জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার সহ পুলিশী টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলার নয়টি থানায় নিয়মিত পুলিশিং কার্যক্রমের পাশাপাশি রমজান মাসের জন্য নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে প্রায় ৭শত এর অধিক অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন থাকবে। তার মধ্যে ২৫ টি ফুট পেট্রোল, ৬০টি মোবাইল টিম, ১৩টি পিকেট ও ২৭টি হোন্ডা মোবাইল ডিউটি থাকবে।
আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে কোতোয়ালী মডেল থানা কেন্দ্রিক মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পায় । তার প্রেক্ষিতে অত্র থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেজন্য ২৮টি মোবাইল পার্টি, ৪টি পিকেট( মার্কেট কেন্দ্রিক এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টসমূহে পিকেট পার্টি এবং ফুট পেট্রল), ৭টি ফুট পেট্রোল নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত (২৪ ঘন্টা) একাধিক হোন্ডা মোবাইল পার্টি থাকবে।
শহরের যেসকল স্থান গুলোতে জনসমাগম বেশি থাকবে সেখানে ছিনতাই এড়াতে সাদা পোশাকে জেলা পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে এবং প্রতিটি থানা এলাকায় বিশেষ সেবা প্রদানের জন্য কুইক রেসপন্স টিম থাকবে।
পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে । কোতয়ালী মডেল থানাধীন বড় বাজার কেন্দ্রিক সরু রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধে যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে সাদা পোশাকে ডিউটিসহ গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে এবং ব্যাংক প্রতিষ্ঠান গুলো যদি বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশি সহযোগিতা প্রয়োজন বোধ করেন তবে সেটাও দেওয়া হবে।
আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে যশোরবাসির জনজীবনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করা। আমরা সর্বদাই আপনাদের সেবায় বদ্ধপরিকর।
আপনাদের কারো কাছে যদি আপনার এলাকার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার"ক" সার্কেল, আহসান হাবীব , সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, "নাভারণ" সার্কেল আল নাহিয়ান, জেলা গোয়েন্দা শাখার(ডিবি) অফিসার ইনচাজ মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(প্রশাসন) মাহফুজুরসহ উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।