নদী উদ্ধারে কথা বললেও বাস্তবে অ্যাকশন কম

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী প্রকাশিত: ১৫ মার্চ , ২০২৫ ১১:১২ আপডেট: ১৫ মার্চ , ২০২৫ ১১:১২ এএম
নদী উদ্ধারে কথা বললেও বাস্তবে  অ্যাকশন কম
রাজধানী ঢাকার হৃদয় বুড়িগঙ্গা। এ নদীকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল এ জনপদের নগরায়ণ

রাজধানী ঢাকার হৃদয় বুড়িগঙ্গা। এ নদীকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল এ জনপদের নগরায়ণ। সেই নদীতে প্রতিনিয়ত পড়ছে শিল্পকারখানা, ঢাকা ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, গৃহস্থালি, হাটবাজার ও নৌযানের বর্জ্য। সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্য ধলেশ্বরী নদী হয়ে মিশছে বুড়িগঙ্গায়। দুর্গন্ধে নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে অভিযান চালিয়েও আটকানো যাচ্ছে না দখলদারদের। বর্জ্য ফেলা আর দখল-দূষণে বর্তমানে জীর্ণ সেই নদীর প্রাণ বাঁচাতে একের পর এক প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাতেও বদলানো যায়নি এর চেহারা। পানি হয়েছে আরও কালো। এখনো বেদখল হয়ে আছে শতাধিক একর জায়গা। নদী রক্ষায় সীমানা পিলার নির্মাণ হলেও এর ভেতরেই গড়ে উঠেছে স্থাপনা। নদীর জায়গায় কেউ কারখানা, কেউ বসতঘর, আবার মসজিদ বানিয়েও চালাচ্ছেন দখলদারিত্ব।  নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নেও নেই অগ্রগতি।  ঢাকা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগ নদও এখন মৃতপ্রায়। শহর আর কলকারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য তুরাগ নদের পানির দূষণের মাত্রা বাড়িয়েছে বহুগুণ। শত শত ইটভাটা আর কলকারখানা গড়ে উঠেছে এ নদীর দুই তীর দখল করে। দূষণ আর দখলে তুরাগের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, শীত মৌসুমে কোথাও কোথাও একে মনে হয় মরা খাল। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘আমাদের নদনদীগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকৃত্য নয়, যেন নদীর শেষকৃত্য করা হচ্ছে। দখল-দূষণে দিনে দিনে মরছে নদী। সরকারকে নদনদী বাঁচাতে খুব দ্রুত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।  মানুষের মতো নদীও ভোগ করতে পারবে সাংবিধানিক অধিকার। ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক এক রায়ে নদীকে ‘জুরিসটিক পারসন বা লিগ্যাল পারসন’ অর্থাৎ জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। দেশের সব নদীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশনাও দেন আদালত। পুরো কর্মকাণ্ড সমন্বয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদীর ‘আইনগত অভিভাবক’ ঘোষণা করা হয়। তবে নদী রক্ষা কমিশন কার্যত অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। কচ্ছপগতিতে চলা সংস্থাটি দখলদারদের পক্ষেও ভূমিকা নিচ্ছে। বাস্তবে দখল, দূষণ, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে দেশের প্রায় সব নদী টিকে থাকার লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক স্থানে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নদনদীর অস্তিত্ব। দখলদারদের কবল থেকে নদী উদ্ধারের উদ্যোগ কাগজ-কলমেই থেকে যাচ্ছে। দেশের নদনদীর সুরক্ষায় নতুন ও শক্তিশালী কমিশন গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও দেখা যাচ্ছে না কার্যকর কোনো উদ্যোগ।  গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্য কমিশনারদের পদ ফাঁকাই রয়ে গেছে। সাত মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো গঠন হয়নি নতুন নদী রক্ষা কমিশন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংস্থা-২ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল ইসলাম অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চেয়ারম্যানের কিছু কাজ এগিয়ে নিলেও তিনি সার্বক্ষণিক নন।  ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দিকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪ জেলায় ৫৭ হাজার ৩৯০ অবৈধ দখলদারের তালিকা করা হয়। এই দখলদারদের মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সরকারি সংস্থা রয়েছে। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ ১৮ হাজার ৫৭৯ জন বা ৩২ শতাংশ অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থমকে যায় উচ্ছেদ কার্যক্রম। পরের বছরগুলোতে দখলমুক্ত অনেক জমি আবার দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা।  ৩৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় সমীক্ষা চালিয়ে নদী দখলকারী প্রায় ৩৮ হাজার ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ওই প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে দখলদারদের নাম বাদ দিয়েছে সংস্থাটি। ২০১৭ সালে ‘৪৮ নদী সমীক্ষা’ প্রকল্প হাতে নেয় নদী রক্ষা কমিশন। সরকারি অর্থায়নে ৩০ কোটি ২৭ লাখ টাকার প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ওই বছরের আগস্টে মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদের সঙ্গে প্রকল্পের খরচও বেড়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া এ প্রকল্পে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।    জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ হাজার ১৫৬টি নদনদীর খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৪ এপ্রিল। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ তালিকা থেকে বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের তালিকাভুক্ত নদনদী বাদ পড়েছে ২২৪টি। আর ওই তালিকার বাইরে থেকে নদীর নাম নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৪৮টি। এমনকি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকার ১৮টি নদনদীর নামও এ তালিকায় যুক্ত হয়নি।  বাংলাদেশে সরকারি সংস্থাগুলোর নদনদীর তালিকাভুক্তির পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, সরেজমিন পরিদর্শন এবং তালিকাভুক্তিতে গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের পরিবর্তে মূলত টেবিলওয়ার্কের ভিত্তিতে এসব তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এমনকি সরকারি সংস্থাগুলোরও একটির অন্যটির তালিকার ওপর তেমন একটা আস্থা দেখা যায় না।  পাউবোর পক্ষ থেকে ২০১১ সালে বাংলাদেশের নদনদী শীর্ষক ছয় খণ্ডের একটি বই প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্য যুক্ত করে ৪০৫টি নদনদীর বর্ণনা দেওয়া হয়। ওই ৪০৫টির অন্তর্ভুক্ত ১৮ নদীর নামও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।  নদী ও প্রকৃতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার অনুসন্ধান অনুযায়ী দেশে নদনদীর সংখ্যা আমরা ১ হাজার ৯০৮ পেয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি জেলা আছে। জেলাগুলোর নদীর সংখ্যা নিয়ে এখনো সঠিকভাবে জরিপ হয়নি। এ তিন জেলার তালিকা পেলে নদনদীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এগুলোর সবকটিরই অস্তিত্ব বিদ্যমান।’  প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখল-দূষণমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬২ জেলা থেকে ৬২টি নদী নির্বাচন করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাঙামাটি ও নওগাঁ জেলা থেকে এখনো কোনো নদীর নাম তালিকাভুক্ত হয়নি।  বাংলাদেশে সরকারি সংস্থাগুলোর নদনদীর তালিকাভুক্তির পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, সরেজমিন পরিদর্শন এবং তালিকাভুক্তিতে গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের পরিবর্তে মূলত টেবিলওয়ার্কের ভিত্তিতে এসব তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এমনকি সরকারি সংস্থাগুলোরও একটির অন্যটির তালিকার ওপর তেমন একটা আস্থা দেখা যায় না।  পাউবোর পক্ষ থেকে ২০১১ সালে বাংলাদেশের নদনদী শীর্ষক ছয় খণ্ডের একটি বই প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্য যুক্ত করে ৪০৫টি নদনদীর বর্ণনা দেওয়া হয়। ওই ৪০৫টির অন্তর্ভুক্ত ১৮ নদীর নামও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।  নদী ও প্রকৃতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার অনুসন্ধান অনুযায়ী দেশে নদনদীর সংখ্যা আমরা ১ হাজার ৯০৮ পেয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি জেলা আছে। জেলাগুলোর নদীর সংখ্যা নিয়ে এখনো সঠিকভাবে জরিপ হয়নি। এ তিন জেলার তালিকা পেলে নদনদীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এগুলোর সবকটিরই অস্তিত্ব বিদ্যমান।’  প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখল-দূষণমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬২ জেলা থেকে ৬২টি নদী নির্বাচন করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাঙামাটি ও নওগাঁ জেলা থেকে এখনো কোনো নদীর নাম তালিকাভুক্ত হয়নি।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা জানি, নদী কারা দখল করেছে এবং এর জন্য কী করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করেছে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে; কিন্তু নদীর ক্ষেত্রে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। নয়তো গত আট মাসে কেন তারা জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষর করল না। ১৯৯৭ সালে যখন জাতিসংঘ এই আইন করলো তখন সেই কমিটিতে বর্তমান সরকারের দুজন উপদেষ্টা ছিলেন। তবুও কেন এখনো এটি হলো না? সরকার কেন দেরি করছে? তাহলে বুঝতে হবে স্বৈরাচারের দোসরদের দ্বারা এই সরকার পরিচালিত হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘উজানে দেওয়া ভারতের বাঁধ, দেশের শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গ ও কোম্পানির দখল আর সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প—এ তিন কারণে বাংলাদেশের নদনদী ভয়ংকর বিপদের মধ্যে রয়েছে। তাই নদী রক্ষায় অবিলম্বে জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষর, ডেল্টা প্ল্যানের পর্যালোচনা এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।’  বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় অনেক এমপি, উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি নদী দখলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তখন না হয় আমরা পারিনি, তাহলে এই যে নতুন বাংলাদেশে এসে ২০২৫ সালে আমাদের কেন বলতে হচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পর নদীতে দখল বেড়েছে, খাল দখল বেড়েছে!’  তিনি বলেন, বলেন, ‘আমরা দেখছি, নতুন দখলদাররা বিপুল উৎসাহে এখন দখল করছে। কারণ এখন প্রশাসন দুর্বল, পুলিশ কাজ করে না। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হয়েছে। তারা এখন নতুনভাবে দখলে নেমেছে। আর সরকার তাদের অসহায়ত্ব দেখাচ্ছে। সরকার বলছে তাদের লোকবল নেই। এই ২০ কোটি মানুষের দেশে নদী কমিশন চালানোর মতো কোনো যোগ্য লোক নাই! সেক্রেটারি দিয়ে চালাতে হয়। এ জন্য কী বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? এই সরকার কেন এই কমিশনকে রক্ষার জন্য একজন যোগ্য লোক পেলো না? নাকি তারা দখলদারদের উৎসাহিত করতে চায়?’  নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল ইসলাম বলেন, নদী দখলদারদের একটি পুরোনো তালিকা রয়েছে কমিশনের। নতুন করে তালিকা প্রণয়নের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নিয়ে বৈঠক করছি। পুরোনো তালিকা থেকে কোনো দখলদারের নাম বাদ পড়েছে কি না বা নতুন তালিকায় দখলদারের নাম যুক্ত হয়েছে কি না সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদল সারা দেশে নদনদী পরিদর্শন করছে। দখলদারদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এক হিসাবে দেশে নদনদীর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২০টি নদী নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আবার যাচাই-বাছাই চলছে।  পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ১ হাজার ১৫৬টি নদীর নাম খসড়া আকারে প্রকাশ করেছি। এপ্রিলের ১৪ তারিখ নদনদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে জনসাধারণের মতামত নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে নদীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর পরও কোনো কোনো নদীর নাম বাদ যেতে পারে। পরে নদীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ থাকবে।’

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo