পৌষের দ্বিতীয়ার্ধে এসে দেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে রংপুরে । বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোতে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। চলমান শীত উত্তরের জেলাগুলোতে আরো দু-তিন দিন থাকতে পারে বলে রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার উন্নতি হলেও ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তরটি। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “ঘন কুয়াশা ও বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে ঠান্ডার অনুভূতি বেড়েছে। এছাড়া, দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না।’’তিনি বলেন, ‘‘আজ রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো দু-তিন দিন এই অঞ্চলে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’’তীব্র শীতে বেশি ভুগছে শ্রমজীবী মানুষ। কুয়াশা এবং হিম বাতাস তাদের জীবনযাত্রা প্রায় অচল করে দিয়েছে।গ্রাম এবং চরাঞ্চলের অবস্থা আরো করুণ। রংপুরের তাজহাট এলাকার ভ্যানচালক আতিয়ারুল ইসলাম বলেন, “গত তিন দিন ধরে রংপুরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। পরিবারের চার সদস্যের ভরণপোষণে বাধ্য হয়েই ঠান্ডার মধ্যে ভ্যান চালাই। তবে, রাস্তায় মানুষ কম থাকায় আয় তেমন হচ্ছে না।’’এদিকে কনকনে ঠান্ডায় সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া, গত এক সপ্তাহে দেড় হাজারের মতো শিশু ও বয়স্ক রোগী ঠান্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, “জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।