রংপুরের বদরগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে পাঁচ ব্যাক্তিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
রংপুরের বদরগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে পাঁচ ব্যাক্তিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার ৮জানুয়ারী উপজেলা দামোদরপুর ইউনিয়ন মোস্তফাপুর বকশিপাড়া গ্রামে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। আহত ব্যাক্তিরা হলেন রাশেদুল ইসলাম, মন্জুরুল হক, আব্দুর রহিম, আদিল,ইমরান হোসেন।এদের মধ্যে রাশেদুল ও মন্জুরুল পেটের বাম পাশে ও হাতে চোখের উপরে জখম হয়।বাকি তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।রাশেদুল আমরুল বাড়ি পলিপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। অভিযুক্ত তিন জন হলো রুহুল আমিন নুরাজ,মাসুম মিয়া,ও মুন্না বাবু।নুরাজ ইউনিয়ন বিএনপির একজন নেতা বলে জানা গেছে। থানায় অভিযোগ ও সরজমিন যেয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী রাশেদুল একটি পাওয়ার টিলার আছে।বিভিন্ন জায়গায় মাটি বালু বহন করে যা আয় হয়। তা দিয়ে পরিবারের সংসার চালান।গত ৬ফেব্রুয়ারি স্হানীয় এক ব্যাক্তি নুর মোহাম্মদ নির্দেশে রুহুল আমিন কাছে তিন গাড়ি মাটি বিক্রি করে। রাশেদুল তার পাওয়ার টিলার দিয়ে মাটি বহন করে। তিন গাড়ির মাটির দাম ৯০০টাকা।সন্ধার সময় মাটির ৯০০টাকা রুহুল আমিন চায়।তিনি টাকা ২দিন পরে দিতে চায়। ঘটনার দিন ৮ফেব্রুয়ারি শনিবার রুহুল আমিন আবারও মাটি দিতে বলে রাশেদুলকে।একপর্যায়ে রাশেদুল বলেন আগের তিন গাড়ির মাটির বাকী ৯০০টাকা চায়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিন ও তার দুই ছেলে মাসুম,মুন্না রাশেদুল ও তার লোকজন কাছ থেকে মাটি কাটার ব্যাবহৃত কোদাল,বেলচা কেড়ে নিয়ে বেদম মারধর করে। এতে ৫জন আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে। মোস্তফাপুর বকশীপাড়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসুম একজন চরম বেয়াদব ছেলে।গ্রামে বড়দের সঙ্গে অসভ্য ভাবে কথাবার্তা বলে।তাদেরকে উত্তেজিত হয়ে আগে মাসুম এগিয়ে এসে মারধর করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বকশীপাড়া গ্রামের এক নারী বলেন,নুরাজ,মাসুম, মুন্না এরা তিনো বাপবেটা গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করছে।এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য প্রসাশন কাছে অনুরোধ করছি। হাবিবুর রহমান আরেক যুবক বলেন, মাসুম,মানুষের সঙ্গে পাওয়োত পড়ি বিবাদে জড়ায়।গ্রামের সব মানুষ এদের বিপক্ষে। এদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।ঘটনার দিনে অন্যায় ভাবে এদেরকে মারধর করে। অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমিন নুরাজ বলেন,হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।বরং রাশেদুল ও তার লোকজন তিন গাড়িতে করে এসে আমার ছেলেকে মারধর করে। বদরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় রাশেদুল নামে একজনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সুস্থ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।