চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ১৮ হাজার ৫শত বস্তা সিমেন্টসহ জাহাজ ডুবি

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট , ২০২৫ ১৮:২৮ আপডেট: ১৪ আগস্ট , ২০২৫ ১৮:২৮ পিএম
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ১৮ হাজার ৫শত বস্তা সিমেন্টসহ  জাহাজ ডুবি

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে শাহ সিমেন্ট কোম্পানির ১৮ হাজার ৫০০ বস্তা সিমেন্টসহ চাঁদতারা- ৮ নামের একটি জাহাজ নোঙর করা অবস্থায়  ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) ভোর ছয়টার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার  দোকানঘর এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এবং চাঁদপুর নদীবন্দর  ও পরিবহন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বাছির আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক এবং পোর্ট অফিসার বাছির আলী খান জানান, বৃহস্পতিবার  আনুমানিক ভোর ০৪:৪৫ টার সময় এমভি চাঁদতারা-০৮ (এম নং ১৩৬৩৭) নামক একটি জাহাজ নোঙ্গররত অবস্থায় তীব্র স্রোতের প্রভাবে নোঙ্গর ড্র্যাগিং করে এমভি জামান নামক অপর একটি জাহাজের উপর পড়ে। 
উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় এমভি চাঁদতারা-০৮ জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের তলা ফেটে পানি ঢুকতে থাকলে কর্তব্যরত মাস্টার জাহাজটিকে নদীর কিনারে নিয়ে যায়। এতে ১৮,৫০০ বস্তা সিমেন্টসহ জাহাজটি আনুমানিক ভোর ৬ টার সময় চাঁদপুর নদীবন্দরের মেঘনা - ডাকাতিয়া নদীর মুখ হতে প্রায় ১.৫ নটিক্যাল মাইল ডাউনে দোকানঘর নামক স্থানে অবস্থানে পুরোপুরি ডুবে যায়। উক্ত ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং সকল নাবিক নিরাপদে রয়েছে।
 ওই কর্মকর্তা আরো জানান,
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে মার্কিং টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিমজ্জিত জাহাজটিকে সনাক্ত করেছে। জাহাজটির সুপারস্ট্রাকচারের উপরে প্রায় ১০ ফুট পানি রয়েছে বলে জানা যায়। নিমজ্জিত জাহাজটি নৌ-চ্যানেলের বাহিরে রয়েছে। জাহাজটিকে একটি জিআরপি বয়া দ্বারা চিহ্নিত করার কাজ চলমান রয়েছে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাহাজটির মাস্টারের ভূল ও অদক্ষতার কারণে এঘটনা ঘটে। জাহাজের মাস্টার তীব্র স্রোতের মধ্যে নোঙ্গর ড্র্যাগিং করে যশোরের অভয়নগরের উদ্দেশ্যে চালু করেন। এসময় অপর একটি জাহাজের উপর পড়ে দুই জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে ওই পরিমাণ সিমেন্ট নিয়ে চাঁদপুর হয়ে যশোর অভয়নগর এর দিকে যাবার কথা ছিল। 
এদিকে, পুরান বাজারের নদী এলাকার মানুষজন জানান, শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার ঠোট্টা এলাকা দিয়ে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনাসহ উজান থেকে নেমে আসা বিশাল জলরাশি সাগরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এই কারণে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার বর্ষায়ও ওই স্থান দিয়ে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোত বইছে।ফলে সকল প্রকার নৌ যান চলাচল পুরান বাজার এলাকা দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo