“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশী মাছে দেশ ভরি” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ পালিত হচ্ছে। এ বছর ১৮-২৪ আগষ্ট পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫পালিত হবে।
১৮ আগষ্ট, রোজ সোমবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে গলাচিপা দিঘিতে রুই মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয় এরপর বর্ণাঢ্য সড়ক র্যালি দিঘির পার থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে শেষ হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. আবদুর রহমান, ডিজিএম পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, গলাচিপা, মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রকৌশলী মো এম. এম. আসাদুজ্জামান আরিফ, মেরিন ফিসারিজ অফিসার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা তথ্য আপা ইসমত আরা।
র্যালি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের হলরুমে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন,
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রেসক্লাব গলাচিপা এর সভাপতি মো. খালিদ হোসেন মিল্টন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গলাচিপা পৌর শাখার সভাপতি মো. নাজমুল হুদা রিপন, উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমান ও সদস্য সচিব মো. জাকির মুন্সি,পৌর মৎস্যদলের সভাপতি মো. জাকির মৃধা।
এ সময় উপস্থিত আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রান্তিক মৎস্যচাষী ও জেলেবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও শুভেচ্ছা বক্তৃতা প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবি।
তিনি বলেন, গলাচিপা উপজেলা মাছের জন্য সুপরিচিত। মিঠা পানির মাছ রক্ষার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন৷ ‘মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চীনের পরেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন পুকুর, জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক প্রজাতি সংরক্ষণ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।প্রাকৃতিকভাবে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর সামুদ্রিক মাছের আহরণ হলেও কৃত্রিমভাবে মাছের চাষ আশানুরূপ হচ্ছে না। আমাদের খাল-বিল, জলাশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা মিঠা পানির চাষ করা হচ্ছে না।
আমরা যদি কৃত্রিমভাবে মাছের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। পুকুর ডোবা নালাসহ খাল-বিলে দেশে উৎপাদিত মাছের প্রায় ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হলেও এ অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। অবৈধভাবে মাছ আহরণে কঠোর অবস্থান থাকবো।”
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ অবদানের জন্য সফল মাছ চাষীদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।