ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে যশোর জেলায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। কাচাঘর,গাছের ডাল, বৈদূতিক খুটি ভেঙ্গে পড়াসহ তার ছিড়ে পড়েছে। এতে করে সদর উপজেলা বাদের বাকি সাত উপজেলার অনেক জায়গায় এখন বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থার উন্নতি করতে কাজ চলছে বলে জানান যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ইছহাক আলী। এদিকে গ্রস্থদের সহায়তা দেয়ার জন্য সাত লাখ টাকা, ৫১৮ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য মজুদ আছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম।
রোববার রাতে দেশের উপকুলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে যশোরে জেলায়ও ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছের অনেক ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতি গ্রস্থদের সহায়তা দিতে ৭ লাখ টাকা, ৫১৮ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য মজুদ । জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান ঘুর্ণিঝড় রিমাল থেকে মানুশকে রক্ষা করার জন্য ২৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা ছিল।
ঘুর্ণিঝরে বৈদ্যূতিক খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায়,তার ছিড়ে পড়ায় দুপুরের পর পর্যন্ত সদর বাদে সাত উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। এরপর মেরামত কাজ করার করানে বিদ্যুতের অবস্থা সচল হয়।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ইছহাক আলী জানান, ঘুর্ণি ঝরে বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে।
সেই সাথে তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মিস্ত্রিরা কাজ করার কারনে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ চালু করা হবে।যশোর বিদ্যুৎ বিতরণ ু বিক্রয় বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন জানান, তার আওতাধীন এলাকায় চারটি বৈদ্যুতিক পোল ভেঙেরগ গেছে, ২টা ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.সুশান্ত কুমার তরফদার জানান,ঘূণি ঝড়ের কারনে জেলা ৩ হাজার ৭৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ১ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমি, কলা ৬৭ হেক্টর জমি,আম ১১৪ হেক্টর জমি, তিল ৩৩১হেক্টর জমি, পেঁপে ২৬ হেক্টর জমি,মুগ ৩৬ হেক্টর জমি, মরিচ ৬০ হেক্টর জমি, পাট ৯৭২ হেক্টর জমি, লিটু ৩৬হেক্টর জমি ও লেবু ৩ হেক্টর জমি ক্ষতি হয়েছে।