খন্দকার জসিম আহমেদ এর বিরুদ্ধে আনীত ঘুষ ও দূর্নিতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনে দ্বিতীয় বারের মতো প্রহসনের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সভাকক্ষে।০৫/০৩/২০২৩ খ্রি. ১৫ জন শিক্ষকের আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক( অর্থ- রাজস্ব) তদন্ত কর্যক্রম পরিচালনা করেন।
খন্দকার জসিম আহমেদ এর বিরুদ্ধে আনীত ঘুষ ও দূর্নিতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনে দ্বিতীয় বারের মতো প্রহসনের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সভাকক্ষে।০৫/০৩/২০২৩ খ্রি. ১৫ জন শিক্ষকের আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক( অর্থ- রাজস্ব) তদন্ত কর্যক্রম পরিচালনা করেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকগন স্ব-শরীরে উপস্হিত হয়ে সাক্ষ প্রদান করলেন।তখন তদন্ত চলাকালিন মূহুর্তে খন্দকার জসিম আহমেদ তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার অনুগত ২০-২৫ জনের একটি শিক্ষক সিন্ডিকেট সদস্যদের উপস্থিত করে তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন।কথিত আছে এই সকল শিক্ষক গন তার কাছথেকে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন এবং তার দূর্নিতির সহায়ক।এই সকল শিক্ষগন স্কুলে না গিয়ে সার্বক্ষনিক ঊপজেলা শিক্ষা, হিসাব রক্ষন অফিসে অবস্থান করেন এবং তার ঘুষ দূর্নিতিতে সহায়তা করে থাকে।এছাড়া একই ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়া, একই ব্যাক্তিকে বারবার বিনা প্রতিদ্বন্ডিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন করা দলবেধে প্রশিক্ষনের ডেপুটেশন প্রদান করা, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা সম্পন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় তার সিন্ডিকেটের শিক্ষকদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা, শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন জাতীয় কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা ইত্যাদি অনিয়ম গুলো দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে সাধারন শিক্ষকরা তার ও তার দালাল চক্রের কাছে জীম্মি।গত ০৫/০৩/২০২৩ খ্রি. তদন্ত রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। কথিত আছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেই রিপোর্ট চাপা দেয়া হয়েছে।ঠিক একই ভাবে বরিশালের একজন সাংবাদিক এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৮/০২/২০২৪ খ্রি.উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম আহমেদের অবৈধ অর্থ ও সম্পদের পাহাড় গড়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও তাৎক্ষনিক স্থগিতকরে সুকৌশলে পরবর্তিদিন ২৯/০২ /২০২৪ খ্রি. প্রহসনের তদন্ত কার্যক্রমের অয়োজন করা হয়।ঐ দিন পূর্বের ন্যায় তদন্ত কর্মকরর্তা মোঃকবির উদ্দিন,সহকারী পরিচালক ( উপবৃত্তি) পরামর্শে তার সিন্ডিকেটের সদস্য একই চিহ্নত শিক্ষক সহ ২০-২৫ জন শিক্ষককে উপস্হিত করেন।এবং তাদের দ্বারা সাফাই সাক্ষি প্রদান করেন।অভিযোগকারী স্ব-শরীরে উপস্থিত হলেও উপস্থিত ঐ সকল শিক্ষকদের মধ্যে অভিযোগকারীকে দাড়া করিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রশ্নবানে জর্জরিত করে বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরী করা হয় ও অভিযোগকারী কোনো বক্তব্য আমলে নেয়া হয়নি এমন চিত্র সাংবাদিক হলের দৃষ্টিগোচর হয়।বিভিন্ন সময় দেখা যায় তার সিন্ডিকেটের এই সকল শিক্ষক গনই তার আশেপাশে বিচরন করছেন।তারা হলেন,১) মিজানুল ইসলাম,(প্র. শি.) শিমুলিয়া স. প্রা. বি.২) শামীম হোসেন শরীফ (প্র. শি.) রাজাপুর স. প্রা. বি. ৩) আল মামুন (স. শি.) বেতরা স. প্রা. বি..৪) কবির হোসেন (প্র. শি. ভারঃ) মোর্শেদ খান স.প্রা. বি.৫) সাহানা আক্তার মিলা প্র.শি. পূর্ব বিন্নাপাড়া স. প্রা. বি. ৬) জসীম উদ্দিন (প্র. শি.) পূর্ব বালিঘোনা স. প্রা. বি.৭) সুব্রত সাহা স. শি. নিবারনচন্দ্র স.প্রা.বি.।
২৮/০২/২০২৪ খ্রি. তদন্তের কথা থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দীন সহকারী পরিচালক (উপবৃত্তি) ঐ দিন রাতে তিনি বরিশাল পিটিআইতে অবস্হান করেন এবং রাতে অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম আহমেদের বরিশালের নিজ বাসায় নৈশভোজ করেন। এবং পরবর্তি ২৯/০২/২০২৪ খ্রি. সকালে তিনি ঝালকাঠি আসেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।শুধু তাই নয় তদন্ত চলাকালিন ২৯/০২/২০২৪ খ্রি.অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ঝালকাঠি আইনজীবি সমিতি সামনে হোটেল থেকে দামি খাবার অর্ডার করে এনে তাকে ভূরীভোজ করান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।একের পর এক অভিযোগ তদন্ত হলেও অবৈধ অর্থের বিনিময় ও তার সিন্ডিকেট শিক্ষকদের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্ব সকল তদন্ত প্রতিবেদন তার পক্ষে নিয়ে নেন।অনুসন্ধানে জানা যায় তার পূর্ববর্তি কর্মক্ষেত্র যেমন গলাচিপা ও বাখারগঞ্জে তাকে লাঞ্চিত সহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।কিন্তু কিছুতেই তার কিছু হচ্ছেনা।পূর্ববর্তী কর্মক্ষেত্রগুলোতে ও তিনি একই কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে জানা যায়।আর এ ভাবেই তিনি দিনের পর দিন তার অনিয়ম, দূর্নিতি ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে তার অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।সাধারন শিক্ষকরা তার ও তার সিন্ডিকেটের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।