সরকারি দায়িত্ব পালনের নির্ধারিত সময়ে অফিস স্টাফদের নিয়ে বৈঠক করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সানজিদা ইসলাম জেসমিন। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ডিউটির মাঝপথে সকল ফ্যামিলি প্ল্যানিং কর্মীদের অফিসে ডেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী একটি মিটিং পরিচালনা করেন ডা. জেসমিন। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ডা. জেসমিনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জাকির হোসেনকে হয়রানি করছেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জাকির হোসেন হেনস্তার শিকার হন এবং মারধরের হুমকিও পান বলে জানান। অভিযোগকারী স্বাস্থ্য সহকারী জাকির ও শামীম বলেন, “ডা. জেসমিন ও তার ঘনিষ্ঠ ফিরোজ খান আড়াই লাখ টাকা ভলান্টিয়ার ফান্ড থেকে আত্মসাৎ করেছেন। পাশাপাশি তিনজন পেইড পার ভলান্টিয়ার কর্মীকে ছয় মাসের বেতন দেননি।” তাঁরা ডা. জেসমিনের বিচার ও অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে ডা. সানজিদা ইসলাম জেসমিন বলেন, “জাকির হোসেন আমার স্টাফদের সঙ্গে মারামারি করেছে। এরপর স্টাফরা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসে। আমি বিষয়টি ইউএনও এবং ওসিকে জানিয়েছি।”
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রউফ বলেন, “হাতাহাতির বিষয়টি শুনেছি, তবে সিসিটিভিতে এমন কিছু দেখা যায়নি। ডা. জেসমিন আমাকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি ইউএনও ও ওসিকে অবহিত করেছেন, যা দাফতরিক প্রটোকলের ব্যত্যয়।”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি উঠেছে।
মোঃ আশিকুর রহমান তুষার 
