যশোর জেলায় খরিফ-২/ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে মাষকলাই ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ বিঘার জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করা হবে।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এগুলো দেয়া হবে। কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত জেলা কৃষি পুনবাসন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২৫০০ বিঘা জমির মধ্যে মাসকলাই ৫০০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য ২০০০ বিঘার চাষে সহায়তা স্বরুপ সার বীজ সরবরাহ করা হবে।
নির্বাচিত কৃষক যেকোন একটি ফসলের জন্য প্রণোদনাপ্রাপ্ত হবেন। প্রতিজন মাষকলাই কৃষক ১ বিঘা ফসল চাষের জন্য উপকরণ হিসেবে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পাবেন। প্রতিজন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ কৃষক ১ বিঘা ফসল চাষের জন্য উপকরণ হিসেবে ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি সার, পলিনেট ও বালাইনাশক পাবেন।
২৫০০ বিঘা জমির মধ্যে সদরে মাসকলাই ৬০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৩৬০ বিঘা, শার্শায় মাসকলাই ৯০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৩৩০ বিঘা, ঝিকরগাছায় মাসকলাই ৬০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৩১০ বিঘা, চৌগাছায় মাসকলাই ৮০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৩৫০ বিঘা, অভয়নগরে মাসকলাই ৪০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১৩০ বিঘা, বাঘারপাড়ায় মাসকলাই ৪০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১৮০ বিঘা, মণিরামপুরে মাসকলাই ৯০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ২০০ বিঘা ও কেশবপুরে মাসকলাই ৪০ বিঘা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১৪০ বিঘা জমি।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিএডিসি থেকে বীজ ও সার দেয়া হবে। সেখান থেকে কষকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে।
উপজেলা কমিটি কৃষকদের দেবে পলি। যশোর জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদনের জমি কম হওয়ায় পণোদনা কম দেয়া হয়। আর যতটুকু উৎপাদন হয় ,কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম পাওয়ার জন্য অপরিপূর্ণ পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে বিক্রি করে দেয়। অসময়ে পেঁয়াজে ঘাটতি কমানোর জন্য প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম, বিএডিসির উপপরিাচলক( বীজ) খোরশেদ আলম, যুগ্ম পরিচালক(সার) রোকনুজ্জামান, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির বিন আলম, মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোতাসীম আহমেদ প্রমুখ।