আজ ১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টার দিকে মুদারকান্দি ও আড়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গতকাল রাতে মারা যাওয়া এক নারীর জন্য কবর খুঁড়তে গিয়ে কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে অজুখানায় তরুণীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।
মৃত তরুনীর কাপড়চোপড় ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে তাকে কেউ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তারপর তাকে হত্যা করা হয়েছে।মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া কবরস্থান থেকে ঐ তরুণীর (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শারীরিকভাবে নির্যাতন ও ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে নিহত ওই তরুণীর নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল বলেন, ‘প্রথমে আমরা মরদেহটি দেখি। অবস্থা দেখে যেটি মনে হয়েছে, বুধবার রাতের কোনও একসময় ওই তরুণীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তারপর এক বা একাধিক ব্যক্তি তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। তারপর কবরস্থানের অজুখানার বসার জায়গা ও মেঝের সঙ্গে তার (তরুণী) মাথা আঘাত করতে করতে থেঁতলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওড়না দিয়ে তার গলা অজুখানার পানির টেপের সঙ্গে বেঁধে রেখে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
’বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে স্থানীয়রা অজুখানায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদেরকে খবর দেয়। তবে এলাকার কেউ লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। তার বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ২২ বছর হতে পারে। নিহত তরুণীর মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণীকে এখানে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে ধর্ষণ অথবা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে যা আমরা খতিয়ে দেখবো। নিহতের পরিচয় শনাক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।