টানা আধাঘন্টা মাটির নিচে চাপা পড়া অবস্থায় অলৌকিক ভাবে প্রাণে বাঁচলেন রুবেল নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টানা আধা ঘন্টা চেষ্টার ফলে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় রুবেলকে।
টানা আধাঘন্টা মাটির নিচে চাপা পড়া অবস্থায় অলৌকিক ভাবে প্রাণে বাঁচলেন রুবেল নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টানা আধা ঘন্টা চেষ্টার ফলে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় রুবেলকে। মঙ্গলবার ( ১৪ জানুয়ারি) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকা ও উদ্ধারকারীদের তথ্যানুযায়ী জানা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের মাফুজার শেখের ছেলে রুবেল শেখ মঙ্গলবার সকালের দিকে বাড়ীর পাশের মোশাররফ হোসেনের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য কাজ করছিলেন। ভবনের বেইজের ১১ফিট গভীরে হাউজ খুড়তে গেলে একপর্যায়ে উপর থেকে মাটি ভেঙে চাপা পড়ে সে। পাশে কাজ করা শ্রমিকরা চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে রুবেলকে উদ্ধারের জন্য কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে রুবেলের হাতের আঙ্গুল দেখতে পায় তখন উদ্ধারকারীরা রুবেলকে সনাক্ত করতে পারে। দীর্ঘ ৩০ মিনিট মাটি খুঁড়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় রুবেলের আঙ্গুলে কোদালের কোপ লেগে আহত হয়। উদ্ধারকারীরা দ্রুত রুবেলকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে রুবেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।ভবন মালিক মোশারফ হোসেন জানান, মাহফুজার ভাই ও তার ছেলে রুবেলকে নিয়ে আমার বিল্ডিংয়ের হাউজ খুড়ার কাজ করছিলেন। তাদেরকে কনটাক্ট দিয়েছি। কাজের শেষ পর্যায়ে আজ সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারাও ঘটনাস্থলে এসেছিল। সে এখন সুস্থ আছে। আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান রনি জানান, খবর পেয়ে আমাদের লিডার কোহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মাণ শ্রমিক রুবেলকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি। হাসপাতালে নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন সুস্থ আছে। মঙ্গলবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হাসান জানান, সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রুবেল নামে একজন লোক নিয়ে আসলে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তার হাতের আঙ্গুল কেটে গেছে, চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত ।