যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের ভৈরব নদেরব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। এতে করে চার গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামবাসী ব্রিজের ভাঙ্গা অংশে ছোট বাঁশের সাঁকোনির্মান করলেও সেটা দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্রামবাসি বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে না।
সদরের বোলপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন জানান,আগেডাকাতিয়া গ্রামের ভৈরব নদের উপর ব্রিজটি অল্প ভাঙ্গা ছিল। এবছর ভারি বর্ষনে ব্রিজটি পুরোপুরো ভাবে ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় ডাকাতিয়া, বোলপুর, কনেজপুর,বিজয়নগর গ্রামবাসির চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামবাসির চলাচলের জন্য সেখানে তারা একটি ছোট্ট বাঁশের সাঁকো নির্মান করেছে। কিন্ত ভাঙ্গা ব্রিজের পূর্ব পাশের মাটি বেশি ধসে যাওয়ায় সাঁকো দিয়ে চলাচল করা এখন ঝুঁকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বাধ্য না হলে সেটা দিয়ে গ্রামবাসি চলাচল করে না। একই কারনে বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থী উপ¯ি’তিকমে গেছে। মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোকেয়া খানম জানান, ডাকাতিয়ার ব্রিজ দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়া করে। কিš‘ ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের আসতে পারছে না, উপস্থিতি কমে গেছে।
এমনকি ইজিবাইক,রিকসা,বাইসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীর মালামাল আসতেনা পারাই ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। মোমিননগর বাজারের মুদির দোকানদার সুমন জানান, ইজিবাইক রিকসা চলাচল করতে না পারায় বেকারিসহ বিভিন্ন কোম্পানীর মালামাল ঠিকমতো আসছে না। এমনকি মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে । একই কথা জানান আরেক গ্রামবাসি নিরব হোসেন । সদর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ আছিফ রেজা বলেন,ডাকাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গা ব্রিজের ¯’ানে গ্রামবাসির চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মান করে দেয়া হবে। কারন ব্রিজ নির্মান প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্প আসলে ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ব্রিজ নির্মানের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।