নোয়াখালীর সূবর্ণচরে অবৈধ একটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ওই ভাটার কিলন ও চিমনি ভেঙে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর সূবর্ণচরে অবৈধ একটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ওই ভাটার কিলন ও চিমনি ভেঙে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় দুপুরে চর আমানউল্লাহ ইউনিয়নের যমুনা ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অভিযান নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেন। জানা যায়, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না নিয়ে নতুন করে অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। রোববার দুপুরে নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালাচ্ছিল যমুনা ব্রিক নামের প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও আইনের বিষয়টি তোয়াক্কা করেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন, নতুন করে কোনো ইটভাটা স্থাপনের অনুমতি সরকার থেকে নেই এবং কৃষিজমিতে ভাটা স্থাপনের অনুমতি দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।কেউ যদি পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো স্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় তা দেওয়া হবে না। এ ধরনের সব ভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।