ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগান থেকে গাছ কর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২ জুলাই , ২০২৫ ১৬:৫৯ আপডেট: ২ জুলাই , ২০২৫ ১৬:৫৯ পিএম
ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগান থেকে গাছ কর্তন

এ যেন মঘের মুল্লুক। স্থানীয় সালিশদার, থানা পুলিশ এবং সবর্শেষ  আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না তারা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছুদিন পর পর নিজেদের মতো করে সৃজনকৃত বাগান থেকে গাছ কেটে সাবাড় করার ঘটনা ঘটেছে। অথচ যিনি জমির প্রকৃত মালিক সুবিচারের আশায় তিনি আইনের দারস্থ হয়ে আদালতে ঘুরছেন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইরচর গ্রামের। সর্বশেষ গত ৩০ জুন ও ১জুলাই দুইদিন গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে, অথচ ওই ভূমিতে ইতোমধ্যেই আদালত ১৪৫ ধারা মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এর আগে চলতি বছরের ৮মার্চ শনিবার একই ভাবে সৃজনকৃত বাগান থেকে গাছ কাটার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিরামপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান’র সাথে প্রতিবেশি সাহাবুদ্দিন বেপারী ওরপে সাবু উল্লা বেপারী এবং সাইফুল ইসলাম গংদের সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২৩ নং লড়াইরচর মৌজার বিএস ৫৯৭ ও ৭২৮নং খতিয়ানভূক্ত বিএস ৬৯৮’ ও ৬৯৯ নং দাগের অন্দরে মোঃ ০.১১০০ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে।
এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ ও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলা নং ৭৫০/২৪ এর বিবরণ অনুযায়ী গত ২৬ জুন ২০২৪  স্মারক নং ৮৭০ মতে উক্ত নালিশী সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা চলমান অবস্থায় বাদী ও বিবাদী নালিশী সম্পত্তিতে না যাওয়ার বিধান থাকলেও অভিযুক্তরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েক দফায় দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গত ৮মার্চ অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম তার লোকবল নিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তি থেকে বেশ কিছু গাছ কর্তন করে। সর্বশেষ তারা গত ৩০ জুন সোমবার ও ১ জুলাই মঙ্গলবার দফায় দফায় নালিশী ভুমিতে সৃজনকৃত বাগান থেকে বেশকিছু সুপারি গাছ কেটে ফেলে। এই স্থানে তারা জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের জন্য বালি ও কংক্রিট স্তুপ করে রেখেছে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে আমি ওই ভুমিতে না গেলেও প্রতিপক্ষরা আইনের তোয়াক্কা না করে গত দুইদিন ধরে গাছ কেটেছে। এর আগেও গাছ কেটেছে।  তারা ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে । এর আগে  আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই প্রতিপক্ষরা কিছু জমি বিক্রি করে ফেলে। যা আমি পরে জানতে পেরে আদালতেকে অবহিত করেছি।  আমি এখন অসহায়। ভুমির আইনত মালিক হয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছি।অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার জমি থেকে আমি গাছ কেটেছি। আমার জমির উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এদিকে সর্বশেষ গাছ কাটার বিষয়ে অভিযুক্তদের কেউ কথা বলেন নি।
 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo