ইং ০৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ অনুমান সন্ধ্যা ১৯.০০ ঘটিকায় কোতয়ালী মডেল থানাধীন বকচর করিম পাম্প সংলগ্ন কবরস্থান রোডের জনৈক আল-আমিনের মুদি দোকানের সামনে হতে জনৈক মোঃ শহিদুল ইসলাম(৬০), পিতা-শাহ জামাল, সাং-বকচর বিহারী কলোনী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর এর দুই চোখ উপড়ে অজ্ঞাত কে/কারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ ভিকটিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি জেলা পুলিশ জানতে পারে এবং বিষয়টি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্ৰহণে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি), যশোরের এসআই/ অলক কুমার দে, পিপিএম, এসআই/ রাজেশ কুমার দাশ, এসআই/মোঃ কামরুজ্জামান, কং/ আব্দুল বাতেন সহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের একাধিক টিম ঘটনার সাথে জড়িত আসামিকে গ্ৰেফতার অভিযান পরিচালনা করে এবং ঘটনাট সংঘটনের মাত্র পাঁচ (০৫) ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে সনাক্ত পূর্বক ইং-০৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ রাত অনুমান ২৩.৫৫ ঘটিকায় আসামি মো: সাদ্দাম(৩৫)কে কোতয়ালী মডেল থানাধীন পালবাড়ি খয়েরতলা মোড় হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্ৰেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম শহিদুল ইসলাম, আসামি মোঃ সাদ্দাম এর সম্পর্কে আপন খালু। আসামী দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করতে থাকে যে তার ১ম স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের সাথে তার খালু ভিকটিম শহিদুল ইসলামের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তার খালু তাকে মাঝে মাঝেই বলে তার উপর জীনের ভর রয়েছে। আর সেই জীনের মাধ্যমে ভর করে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম আসামি মোঃ সাদ্দাম এর স্ত্রীর সাথে শারীরকি সম্পর্ক করে। এই সমস্ত কথাবার্তা শোনার পর আসামি মোঃ সাদ্দাম উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তার খালু ভিকটিম শহিদুল ইসলাম যেন চোখ দিয়ে তার স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছে সেই চোখ উঠিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি ইং-০৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ সন্ধ্যা ১৯.০০ ঘটিকায় যশোর শহরের বকচর সাকিনস্থ করিম পাম্পের সামনে জনৈক আল আমিনের মুদি দোকানের সামনে ভিকটিম শহিদুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে সাদ্দাম তার কাছে যায় এবং দুজনে কথাবার্তা বলা সহ দুজনে মিলে পাইচারি করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামি মোঃ সাদ্দাম ভিকটিমকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ভিকটিম শহিদুল ইসলাম এর বুকের উপর উঠে বসে তার ডান হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে ভিকটিম শহিদুল ইসলামের দুই চোখ উপড়ে দেয়। ভিকটিম শহিদুল ইসলাম চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে আশেপাশে থাকা অনেকেই এগিয়ে আসলে আসামি মোঃ সাদ্দাম ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার কারণ এবং এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য: ১। মো: সাদ্দাম (৩৫), পিতা- শাহজামাল @ শাহ আলম, মাতা- মৃত ঝর্ণা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা- বকচর বিহারী কলোনি, ওয়ার্ড নাম্বার-৯, থানা-কোতোয়ালি মডেল থানা, জেলা- যশোর, বর্তমান ঠিকানা- মুরলী (বকুলতলা) থানা- কোতোয়ালি মডেল থানা জেলা যশোর। ভিকটিমের তথ্য – শহিদুল ইসলাম(৫৫), পিতা- মৃত ইদ্রিস আলী, মাতা -আয়েশ বেগম, স্থায়ী ঠিকানা- বকচর কবরস্থান পাড়া, থানা কোতোয়ালি মডেল জেলা যশোর। এসংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন এবং গ্ৰেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।