গত ২৪ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত গাজীপুর বাঁশরী রিসোর্টে আয়োজিত এই জমকালো অনুষ্ঠানে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আসা ৭৫০ জন প্রকৌশলী। এযেন শুধু একটি পুনর্মিলনী নয়, বরং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (আরপিআই) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সম্প্রদায়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা নিজেদের পুরনো সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আবেগ ও আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিলো এক গর্বিত মহামিলনের স্থল হিসেবে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা মেতে ওঠেন পুরনো স্মৃতি, হাসি-ঠাট্টা এবং পুনর্মিলনীর উচ্ছ্বাসে। ‘আরপিআই’র বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান সরকার (চিফ ইন্সট্রাক্টর - সিভিল টেকনোলজি) শহিদুল ইসলাম শাওন (চিফ ইন্সট্রাক্টর - মেকানিক্যাল টেকনোলজি) ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব (চিফ ইন্সট্রাক্টর - পাওয়ার টেকনোলজি) ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান (সিটি), ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম (এমটি), রুহুল আমিন (সিএমটি) সহ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনায় উঠে আসে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব। বিশেষত পেশাদার জীবনে সফলতা অর্জনে সদা নতুন কিছু শেখার তাগিদ। একইসঙ্গে, শিক্ষকরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করেন, তা-ও তুলে ধরা হয়। এমনটি প্রকাশ করা হয় যে, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিরন্তন মূল্যবোধ। এ মিলন মেলার বার্তা ছিলো একতা, সহযোগিতা এবং সম্পর্কের শক্তি। সংগঠনটি প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি, পেশাগত নেটওয়ার্ক গঠন, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞানের আদান-প্রদান সহজতর করবে উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার ভবিষ্যত এবং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভূমিকা তুলে ধরেন। পুনর্মিলনীর সর্বাত্মক সহযোগীতায় ছিলেন, প্রকৌ. তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ), প্রকৌ. নাসিম, প্রকৌ. মিল্টন, প্রকৌ.খোকন, প্রকৌ.সুমন, প্রকৌ.নিবারন, প্রকৌ.গালিব, প্রকৌ.সাগর, প্রকৌ.আশিক, প্রকৌ. পারভীন আক্তার ময়ন সহ সকল জোনের প্রকৌশলী টিম লিডাররা। এদিনে অনুষ্ঠানের বড় চমক ছিলো আরপিআই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এবং এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন ইঞ্জি. তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ)। এর মাধ্যমে পুরনো শিক্ষার্থীরা একে অপরকে সহযোগিতা, পরামর্শ এবং উন্নয়নের সুযোগ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করা সহ এই অ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যতে বিভিন্ন একাডেমিক ও শিল্প অংশীদারিত্বের জন্য ভিত্তি তৈরি করবে, যা আরপিআই-র শিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতে এই সম্মিলনীগুলোর মাধ্যমে আরপিআই-র নাম আরও উজ্জ্বল হবে, এমনটাই আশা করছেন সবাই।