অভয়নগরের শেখ তাসনিম ফেরদৌস ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। সে এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাসনিমের বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামে।তার পিতা গোলাম রসুল একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। তার মা একজন গৃহিণী এবং তার বড় ভাই নওয়াপাড়া সরকারি কলেজে অনার্স পড়ে। গত রবিবার ফলাফলে দেখা যায় সে ৮৯ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। শেখ তাসনিম ফেরদৌস বলেন, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম ডাক্তার হব। সেভাবেই লেখাপড়া করতাম। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই মনে হয়েছিল, আমি ভর্তির সুযোগ পাব। তবে তৃতূয় আল্লাহর রহমতে সুযোগ পেয়েছি। ডাক্তার হয়ে গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।’ তাসনিম আরও বলেন, ‘কোনো সময় অপচয় না করে পড়াশোনা করেছি। একাডেমিক বইয়ের বাইরে বই পড়তে আমি পছন্দ করি। তবে আত্মোন্নমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বই আমার খুব প্রিয়।’ দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে তাসনিম তাঁর ফল জানতে পারেন। ফলাফল জানার পর বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। অনেক মানুষ তাঁদের বাড়িতে আসেন। ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন অনেকে। তাসনিমের বাবা গোলাম রসুল শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবে। সেভাবে সে লেখাপড়া করেছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। মা রোকেয়া খাতুন বলেন,‘ছেলের মুখে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল শুনেছি। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পরে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার ছেলে তৃতীয় হয়েছে আমি খুব খুশি।