গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হক মার্কেটে গড়ে উঠা গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের কাঁচা বাজার দখল করে চাঁদাবাজি ও দু গ্রুপের আধিপত্যবিস্তারে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে,, স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজার আড়তদার মালিক গ্রুপের সভাপতি আঃ সোবাহান কে ৪ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে থানায় ডেকে আনেন জিএমপি সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সোবাহান বলেন থানায় গিয়ে ওসির রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে সদর এসি আমাদের হাত থেকে মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে নেয় এবং আমাদের আটক দেখান, আমি জানতে চাইলে তিনি বলেছেন উপরের চাপ তাই আমার কিছুই করার নাই, পরে জানতে পারি রাজনৈতিক একটি হত্যা মামলায় আমাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন করেন পুলিশ,, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদ করার হুকুম করেন। সোবাহান আরো বলেন বুধবার আমাকে আটকের একদিন পরে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ফেরদৌস, নেওয়াজ, তারিফ, সাঈদুলের নেত্রীত্বে একদল সন্ত্রাসী বাজারে চাঁদাবাজি করতে গেলে ওই বাজার সমিতির সদস্য আবদুল মালেক বাধা দিলে তাকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠায় সন্ত্রাসীরা। মারাত্মক জখম ও আহত আবদুল মালেক(৪৯) বাসন থানার বারবৈকা এলাকার রাজ মাহমুদের ছেলে।এবিষয়ে (১১ ডিসেম্বর) বুধবার রাতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে বাসন মেট্রো থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন গুরুতর আহত ভিকটিম আবদুল মালেক।অভিযুক্তরা হলেন- । ফেরদৌস (৪৫), পিতা- রমিজ উদ্দিন, ২। মোঃ হাফিজ (৪০), পিতা-মৃত হযতর আলী, উভয় সাং-চান্দনা, ৩। নেওয়াজ (৩৫), পিতা- অনু মিয়া, সাং-ভোগড়া, ৪। তারিফ (৩৫), পিতা-মৃত নাসু মিয়া, সাং-আউটপাড়া, ৫। হাসান (৩৫), পিতা- মিনু মিয়া, সাং-আউটপাড়া, ৬। সহিদ (৩৬), পিতা মৃত-হাসান আলী, সাং-ভোগড়া, ৭। ইমান (৪৫), পিতা মৃত-নাছির উদ্দিন পালোয়ান, সাং-দিঘীরচালা, ৮। আফ্রিদী (২৫), ৯। লিখন (৩০), উভয় পিতা-ফিরোজ, সাং-বারবৈকা, ১০। আমিন (৪০), পিতা-মৃত জিন্নত আলী, সাং-ইটাহাটা, ১১। মেহেদী হাসান (৩৫), পিতা- আব্দুল লতিফ, সাং-আউটপাড়া, ১২। মোঃ লিমন (৩০), পিতা-ওসমান আলী, সাং-চান্দনা, ১৩। মোঃ শাকিল (৩৮), পিতা-নাসু মিয়া, সাং-আউটপাড়া, ১৪। করিম মিয়া (৪০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ভোগড়া, সর্ব থানা- বাসন, গাজীপুর মহানগরগণ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদল গাজীপুর কাঁচাবাজার দখল করে চাঁদাবাজি করতে থাকে। আড়ৎদার আবদুল মালেক প্রতিবাদ ও বাধা দিলে তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।সোবাহান আরো বলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি মাসে ২ লাখ ও বর্তমান বিএনপির নেতাদের ৩ লাখ ৫০ হাজার করে টাকা দিতে হয়েছে। এরপরেও বিএনপি নেতারা আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছেন।গাজীপুর চৌরাস্তা কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সদস্য আঃ মালেকের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাসন মেট্রো থানার ওসি রাহেদুল ইসলাম আমােদর প্রতিনিধিকে জানান তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।