ভুয়া জমির মালিক সাজিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ শতক জায়গা বিক্রি করে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে কসবা পৌরসভা কাঞ্চনমুড়ির এলাকার চান মিয়া ছেলে শাহাপরাণ ও বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক ছেলে রৌশন মিয়া নামের দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুয়া জমির মালিক সাজিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ শতক জায়গা বিক্রি করে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে কসবা পৌরসভা কাঞ্চনমুড়ির এলাকার চান মিয়া ছেলে শাহাপরাণ ও বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক ছেলে রৌশন মিয়া নামের দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার ( ৮ মার্চ ) রাতে নিজ বাড়ি থেকে রোশন মিয়াকে ও (১২ মার্চ) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বোনের বাসা থেকে প্রতারক শাহপরান কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ জমির জাল কাগজপত্র তৈরি করে অন্যের নামে জমি ভুয়া মালিক সাজিয়ে ছবি, নাম,ঠিকানা পরিবর্তন করে আমার কাছে বিক্রি করে শাহপরান ও রোশন প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে কাগজপত্র নিয়ে জমির জায়গা সম্পর্কে জানতে গেলে তথ্য পাই এই নামের ব্যক্তি কোন জমি নেই, ভূয়া মালিক রৌশন কাছ থেকে যে আমমোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেওয়া হয়েছে প্রকৃত অর্থে ওই মালিকের কোনো অস্তিত্বই নেই, যা দলিল নম্বর ১১৭৫৮/২৩ । এ বিষয়ে ভুয়া মালিক রোশন কে জিজ্ঞেস করলে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করে। এরপর জমির টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে সে জানায় প্রতারক শাহপরানের কথামতে তার সাথে প্রতারণা করে, শাহপরানের কাছে সকল টাকা পয়সা রক্ষিত রয়েছে। পরে প্রতারক চক্র সাথে জড়িত থাকা শাহপরানের বড় ভাই হাক্কানী কে আসামী করে তিনজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করলে পুলিশ তাদের দুইজন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন । শাহপরান ও রোশন, হাক্কানী এলাকায় একজন আন্তর্জাতিক প্রতারক হিসেবে পরিচিত বলেও জানান ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম ।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, (জালিয়াতি) মামলায় ভিত্তিতে প্রতারকদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।