আদমদীঘিতে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষের লক্ষ্য
চলতি মৌসুমে বগুড়ার আদমদীঘিতে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান কাটার পর আলু, সরিষা, পেঁয়াজ ও নানা ধরনের সবজি চাষের জন্য কোমরে গামচা বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। কারোই যেন দম নেওয়ার সময় নেই।আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ইতিমধ্যেই কৃষকরা আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটার পর সেই জমিতে রবিশস্য আবাদ শুরু করছেন। কৃষকরা বিভিন্ন জাতের আলু, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন,মসুর ডাল ও নানা ধরনের শাক-সবজি রোপন করছেন। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় এবার এই উপজেলায় আলু ও সরিষা আবাদ দ্বিগুণ করছেন কৃষকেরা।চলতি রবি মৌসুমে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু, ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৩০ হেক্টর জমিতে গম, ৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, ৩০ হেক্টর জমিতে রসুন, ২৫ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল, ৪শ’ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি এবং ৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।শালগ্রামের কৃষক মাসুদ রানা জানান, গত মৌসুমে ৩ বিঘা সরিষা চাষ করেছিলাম। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের থেকে পরামর্শ পাচ্ছি।তাই আশা করছি, এবার ভালো ফলন হবে।কোমারপুরের কৃষক নূর ইসলাম জানান, বাজারে আলু বিজের সঙ্কট ও দাম বেশি থাকায় এবার তিনি গত বছরের তুলনায় ১২ বিঘারও বেশি জমিতে আলু ও সরিষা চাষ করেছেন।আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষা ও আলুর আবাদ বেশি করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যাচ্ছে সব ফসলের বাম্পার ফলন হবে।