রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা পুরাতন বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় জনগণের গণপিটুনিতে ‘সম্রাট বাহিনী’র প্রধান সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় তার সহযোগী কুষ্টিয়া বসাকুষ্টিয়া এলাকার সেলিমকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটার গানসহ আটক করে এলাকাবাসী পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত সম্রাট কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা এলাকার মৃত অক্ষয় মন্ডলের ছেলে। পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্রাট দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় ও আশপাশে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক থাকার পর সম্প্রতি সে এলাকায় ফিরে আসে। কয়েকদিন আগে সে হোসেনডাঙ্গা পুরাতন বাজার এলাকার শহীদ শেখের বাড়িতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বুধবার রাতে সে সহযোগীদের নিয়ে ফের সেখানে গেলে বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে।
এতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও অস্ত্রসহ সেলিম নামের এক সন্ত্রাসী ধরা পড়ে।
এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলেও, অন্যদিকে সচেতন মহল গণপিটুনির মতো আইনবহির্ভূত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত ও কার্যকর আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের মতে, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভই এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধে প্রশাসনের আরও তৎপরতা, নিয়মিত টহল এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।