রাজবাড়ী-২ আসনের রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক মো. নাসিরুল হক সাবু। দীর্ঘদিন দলের জন্য ত্যাগ, আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব এবং সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পরও দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে তিনি এবার জনগণের শক্তিকে ভরসা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী যুদ্ধে শামিল হয়েছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাতুল হকের কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমাদান কার্যক্রম চলবে।
মো. নাসিরুল হক সাবু রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিকবার দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন এবং দলের দুঃসময়ে আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান।
দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হলেও তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই এটিকে “ত্যাগী নেতার প্রতি জনগণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ” হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মো. নাসিরুল হক সাবুর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং এলাকার উন্নয়নে অতীত ভূমিকা রাজবাড়ী-২ আসনের ভোটারদের কাছে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।
সব মিলিয়ে দলীয় পরিচয়ের বাইরে এসে জনগণের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে তাঁর এই লড়াই রাজবাড়ীর রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।