বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে ভোলার নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন। এবার শুরু করেছে জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম। নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের পর এবার চালু হয়েছে নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন জেনারেল হাসপাতাল। বিশিষ্ট সমাজসেবক নিজাম উদ্দিন আহমদ অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য এই হাসপাতাল স্থাপন করেছেন।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্বোধন করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমদ। এ সময় হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা নিজাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল), রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, রাইয়ান উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক ডা. ফয়সাল আবেদীন রাকিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল হাসপাতাল উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছেন। যারা এর আগে কখনো ডাক্তারের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি নিতে পারেনি নিজের অসহায়ত্বের জন্য, তারাই আসছেন নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে এই হাসপাতালে পুরো মাসজুড়ে সকল রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
এই হাসপাতালে এর আগে হতদরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দিয়েছে। এখন থেকে স্বল্প খরচে কার্ডিওলজি, মেডিসিন, শিশু ও গাইনি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া গরিব, অসহায় ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং সামর্থ্যবানদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মাধ্যমে প্রতিদিনই এখানে সর্বনিম্ন খরচে সব ধরনের ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করানো হয়।
প্রতিদিন সকাল-বিকাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, গাইনি, শিশু, চর্ম ও যৌনরোগ, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, গ্যাস্ট্রোলজি ও অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। গরিব রোগীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর বিশেষ সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেশার মাপা ও প্রাইমারি হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে।
নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোলার মানুষের জন্য চক্ষু সেবা দিয়ে আসছে। চক্ষু সেবার পাশাপাশি জেনারেল বিভাগও চালু করেছি। মানবসেবাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্য হাসপাতালটির জেনারেল বিভাগ চালুর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপজেলার মানুষের কাছে আধুনিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।