তাসাওউফ চর্চার মাধ্যমে নফ্সের নিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধির
শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব
‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’ নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন ‘আলোর পথে’র ব্যবস্থাপনায় ২৬ এপ্রিল “সামাজিক অবক্ষয় রোধে নফসের নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মশুদ্ধিতে মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকা” শীর্ষক মাসিক মহিলা মাহফিল ‘ডিউ উদয়ন’ ভবনস্থ ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
নাসরিন আখতার এবং ফাতেমা খাইরুন্নেসা এর সঞ্চালনায় মাহফিলের নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনা করেন মাইজভাণ্ডারী একাডেমির গবেষণা সহকারী মোহাম্মদ আকিব। তিনি বলেন, আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপই হলো নফসের মোকাবেলা করা। এটি এমন একটি আধ্যাত্মিক সাধনা যা মানুষকে কুপ্রবৃত্তি থেকে মুক্ত করে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে ।
যে ব্যক্তি নফসের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় সে নৈতিক মূল্যবোধ হারায় আর যে ব্যক্তি নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় সে প্রকৃত মুক্তির পথ খুঁজে পায়। যে ব্যক্তি আত্মসংযম, তাওবা, জিকির, আওলিয়ায়ে কেরাম ও পীর-মুর্শিদের সোহবতের মাধ্যমে নফসকে শুদ্ধ করতে পারে সে ব্যক্তি শুধু নিজেকে নয় সমাজকেও আলোকিত করতে পারে ।
আচার ধর্ম পালনের মাধ্যমে শুধুমাত্র জাহেরী নাপাকি দূর করা সম্ভব কিন্তু বাতেনী নাপাকি তথা কলব পরিশুদ্ধ করার জন্য পীর-মুর্শিদের সোহবত একান্তই অপরিহার্য ।
সুফি নারীরাও নফসের নিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধিতে নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের মহীয়সী আম্মাজানের ত্যাগের দৃষ্টান্তও তিনি তুলে ধরেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, তাসাওউফ চর্চার মাধ্যমে নফ্সের নিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
মাহফিলে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সিদরাতুল মুনতাহা, নাতে রাসুল (দ.) ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন করেন যথাক্রমে উম্মে সায়মা সাদিয়া এবং মিফতাহুল জান্নাত।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ বিশেষত ফিলিস্তিনসহ মজলুম মানবতার মুক্তি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের পরিসমাপ্তি ঘটে ।