অন্যায়, অনিয়ম, দুবৃত্ত করণসহ ৭দফা দাবীতে মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর শিশু হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সেই সাথে তারা জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবীগুলো হচ্ছে, বেতন বৈষম্য দুরকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করণ,দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা, স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ ছাড়া শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, ইতিপূর্বে যাদের কোন কারণ দর্শানো বা নোটিশ ছাড়া চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা, শিশু হাসপাতালের সকল কার্যক্রম স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করা ও নিয়ম বহিভূত অযোগ্য ব্যক্তিনিয়োগ প্রদান না করা। শিশু হাসপাতালের উপ পরিচালক নূর-ই,হামিম জানান বর্তমানে শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনে বড় পদে আছেন ফাউন্ডার জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার এম আর খানের জামাই ও মেয়ে। এ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মেয়ে ম্যান্ডি করিম ও মহাসচি জামাই রেজা করিম। এরা দুইজন যা খুশি তাই করছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছা মতো কাজ করছেন। কোন নোটিশ ছাড়াই হাসপাতালের স্টোর কিপার শাহেদ আহমেদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর যারা আন্দোলন করবে, তাদেরকেও চাকরিচ্যুত করা হবে বলে ভয় দেখানো হচ্ছে। এর আগে ম্যনেজার পদে হাদিউজ্জামান নয়ন এসএসসি ও এইচএসসির জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ম্যানেজার পদে চাকরি নেন। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্তাক্ত করার অভিযোগ উঠে। তখন হাসপাতাল কমিটি তদন্ত করে প্রমানিত হয়। পরিস্থিতি বিপক্ষে যাওয়ায় তিনি ২০২২ সালের জুলাই মাসে চাকরি ছেড়ে দেন। হাসপাতালে চাকরি করার জন্য হাদিউজ্জামান নয়ন হাসপাতাল কমিটির সাথে আতাত করেছেন। সেখান থেকে তাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ঢোকানোর জন্য আমাকে সুপারিশ করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি সুপারিশ করিনি। কারণ নয়নের এসএসসি ও এইচএসসির কোন সার্টিফিকেট নেই। এদিকে তারা সোমবার জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডাক্তার নূর-ই হামিম, শিশু বিশেষজ্ঞ প্রকাশ চন্দ্র সরকারম ডাক্তার তাসনিয়া ফেরদৌসসহ কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ।