বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুরের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলায় সোমবার দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এ খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করার জন্য তেড়ে আসার চেষ্টা করেন আ. লীগ নেতা কাজল কৃষ্ণ দে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্নামাতের ছেলে তওহিদ সন্নামাত যোগ দিলে একসময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হন তওহিদ সন্নামাত। পরে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেও মানুষ ভয় পেতেন।এখনও তাদের আচরণ পরিবর্তন হয়নি। একটি ভিডিওতে দেখলাম কাজল কৃষ্ণ দে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসছেন মারা জন্য। বিষয়টি দুঃখজনক। সাংবাদিকরা তো ভিডিও করবেই।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোমবার দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তেড়ে আসার বিষয়টি দুঃখজনক।