হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের পিডব্লিওআই সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃ সিজিল মিয়া চৌধুরী প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:৩০ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:৩০ পিএম
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের পিডব্লিওআই সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
সম্প্রতি তার এই অপকর্মের ১৪ দফা ফিরিস্তি তুলে ধরে বিচারের দাবীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথের পরিত্যক্ত রেললাইন নিলামে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

অবৈধভাবে পরিত্যক্ত রেললাইন, ডকপিন, যন্ত্রপাতি বিক্রি, গেইট কিপারদের কাছ থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়, কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিওআই) সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি তার এই অপকর্মের ১৪ দফা ফিরিস্তি তুলে ধরে বিচারের দাবীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথের পরিত্যক্ত রেললাইন নিলামে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তখন নিলামের বাহিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার রেল লাইন তুলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেন উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গুদামে থাকা পরিত্যক্ত ডকপিন, পাত ও যন্ত্রপাতিও বিক্রি করেন তিনি। অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া এসব মালের হিসাব মিলানোর জন্য নিরীহ গেইট কিপারদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। 

লস্করপুর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের গেটকিপার পরিবর্তনের কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজেই করেন। এই কাজে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টিএলআর গেইট কিপারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা হার আদায় করা, পুরাতন টিএলআর গেইট কিপারদের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করে নিজের ভাইসহ আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

২০২৩ সালে লেভেল ক্রসিং এর কার্পেটিং কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় কাটের স্লিপার বিক্রি করে দেন সাইফুল্লাহ। ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মঞ্জুরি পাওয়া পি এল আর গেট কিপারদের যোগদান করতে না দিয়ে তাদের বেতন ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ করেন। সেলুস্কিনিং কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার এবং পরিমাণে কম দেন তিনি। 

এ বিষয়ে আলাউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, সাইফুল্লাহ রিয়াদ দুর্নীতি করে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। ইখফেতার হোসেন নামে আরেকজন জানান- তিনি যোগদানের পর থেকেই নানান অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। যার ভোক্তভুগী হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। 

তাই তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। বদরুল ইসলাম বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাই। সাইফুল্লাহ রিয়াদ বর্তমানে আখাউড়া সেকশনে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনেও রয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo