ঘটনাটি ঘটেছেঃ রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদা -নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দারার পার মৌজায়,বিয়ের ১১বছর পরে,টিকটকের মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসার পর। দুই সন্তানসহ প্রথম স্ত্রী,হাসি আক্তারের উপর যৌতুকের ৩,লক্ষ টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে,ঘরছাড়া করন একই মৌজার বাসিন্দা,স্বামী এনামুল হক।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ঃ হাসি আক্তার,তার দুই মেয়ে সহ,গত চারমাস আগে,বিবাহের ১১,বছর পর তিন লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে,ব্যাপক মাইরধর ও নির্যাতন করে। শশুর খলিলুর রহমানের বাড়িতে রেখে আসেন,স্বামী মোঃ এনামুল হক। হাসি আক্তার ও তার দুই মেয়ে সহ বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন হাসি আক্তার। বাবার বাড়িতে থাকা কালীন,স্বামী এনামুল হক,ঐদিকে টিকটক করতে গিয়ে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে পরেন,অবশেষে সেই টিকটকের মেয়েটিকে,বিয়ে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বামী এনামুল হক। কিন্তু বিয়ের কাবিননামা সহ কোন কাগ- জপত্র দেখাতে পারেনি,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট। এ নিয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষ একটি সালিশ বৈঠক করেন। সই সালিশি বৈঠকে এনামুল হক,উশৃংখল কথাবার্তা বলে,অমান্য করে বৈঠক থেকে উঠে চলে যান।পরে এলাকাবাসী হাসি আক্তার কে তার দুই কন্যা সন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে থাকার অনুমতি দেন।
উল্লেখ যে ঃ দুই একদিন যেতে না যেতেই,সেই তিন লক্ষ যৌতুকের টাকা নিয়ে,কথা কাটাকাটি হয়,স্বামী এনামুল হকের সঙ্গে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হইয়া,স্বামী এনামুল হক,সহ শাশুড়ি ও ননদের স্বামী মারপিট শুরু করেন। এমতঅবস্থায় এলোপাতাড়ি মারপিটের সময়,হাসি আক্তারের,পেটে সজো- রে লাথি মারার পর,প্রচন্ড ব্লাড ভাঙ্গার কারণে,সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন,হাসি আক্তার। তাৎক্ষণিক বাবা মোঃ খলিলুর রহমান,এলাকার দুই চারজন সাক্ষী নিয়ে,ঘটনাস্থ- লে উপস্থিত হয়ে,গিয়ে দেখতে পান। তাহার মেয়ে জ্ঞান হারি- য়ে মাটিতে পড়ে আছে। এবং স্বামী এনামুল সহ ফ্যামিলির সকল সদস্য মিলে,বিভিন্ন অক্ষত্র ভাষায় গালিগালাজ কর- তেছেন স্বামী এনামুলের বাড়ি থেকে,বাবা খলিলুর রহমান তাহার মেয়েকে নিয়ে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসক বলেন,তাহার পেটে তিন মাসের যে সন্তা- নটিছিল সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে, গতকাল ২/৫/২০২৫ইং রোজ শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে,স্থানীয় পীরগাছা থানায় গিয়ে,একটি অভিযোগ দাখিল করেন হাসি আক্তার।
এ বিষয়ে ঃ গণমাধ্যম কর্মী দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার রংপুর ক্রাইম রিপোর্টার মোস্তাক আহমেদ (বাবু) ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে। হাসি আক্তারের স্বামী এনামুল হক ও ননদের স্বামী-কে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও কোন সারা পাওয়া যায়নি। অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার,এসআই শফিক জানান। সঠিক তদন্ত করে সত্যতার মাধ্যমে এনামুল হকের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি।