নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার থানার হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বাবু বলরাম কর্মকার বিএসসি (৫৫) ও অফিস সহকারী হামিদুল হক (৪৮) কে মারধর করে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার থানার হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বাবু বলরাম কর্মকার বিএসসি (৫৫) ও অফিস সহকারী হামিদুল হক (৪৮) কে মারধর করে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। মারধর কারী সন্ত্রাসী নুর নবী (৫০) এর বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার সকালে থানার হাট এলাকায় মিছিল শেষে থানার হাট বাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। সন্ত্রাসী নুর নবীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় সে এ ঘটনা ঘটায়। স্থানীয় ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাহতলা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে নুর নবী মিয়া গত বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসা মাঠে অতর্কিতভাবে বাশের লাঠি দিয়ে মাদ্রাসার গনিতের শিক্ষক বলরাম ও অফিস সহকারী হামিদুল হক কে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং চড়থাপ্পড় দিয়ে মারধর করে লাঞ্চিত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুর নবীর বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে দুপুরে থানার হাট বাজারে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা জালাল আহমেদ, হাবিবুর রহমান মিঠু ও মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাফেজ আহমেদ। বক্তারা বলেন, নুর নবী একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি । সে যখনতখন যার তার উপর হামলা চালিয়ে থাকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বক্তারা পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন । স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী নুর নবী আগে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। গত কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দাপটের সাথে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ইয়াবা কারবার চালিয়ে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে। পুলিশ কে সে প্রতি মাসে মাসে বড় অংকের মাশয়ারা দিয়ে তার ব্যবসা জমজমাট করে চালিয়ে আসছে। রোববার বিকেলে এই ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা হাফেজ আহমেদ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনা ক্যাম্প ও সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোনাইমুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম অভিযোগ প্রাপ্তীর কথা স্বীকার করে বলেন, নুর নবীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।