সিসি ক্যামেরা সচল থাকলে অপরাধ কম হবে, অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটলে সহজেই অপরাধীকে সনাক্ত করা যাবে- পুলিশ প্রশাসন।
যশোর শহরে অপরাধমূলক কার্যক্রম কমিয়ে আনতে ও অপরাধীধে দ্রুত সনাক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে শহরে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা স্বচল চালুর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পৌরসভার অর্থায়নে ,পুলিশ প্রশাসনের তত্তাবধায়নে বুধবার এ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম তুহিন।
এ কাজে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। রোববারের আইন শৃংঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্বচল থাকলে শহরে অপরাধ কম সংঘটিত হবে বলে জানান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার – ক সার্কেল জুয়েল ইমরান। পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম তুহিন জানান ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে পৌরসভার ৩৪টি স্পটে ৯৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম রেন্টু চাকলাদারের সময় এগুলো স্থাপন করা হয়। স্পটগুলো হচ্ছে দড়াটানা, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মোড়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মোড়, আরবপুর মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, সিভিল কোর্ট মোড়, চৌরাস্তা, স্টেশন, চারখাম্বা, টিবি ক্লিনিক মোড়, মুজিব সড়ক সহ ৩৪টি স্পট।
আর সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হতো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তিন বছরের মধ্যে ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। রোববার আইন শৃংঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে প্রেক্ষিতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শহরের মার্স এন্টারপ্রাইজকে দিয়ে এ কাজ করানো হচ্ছে। কাজে তত্তাবধায়নে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম তুহিন আরো শহরে কিশোর গ্যাংয়ের চাকু মারামারি ও ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড রোধে জানান সিসি ক্যামেরা সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ জানান, পৌর এলাকায় আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা ও পৌরবাসির নিরাপত্তা স্বার্থে এ কাজ করা হচ্ছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার – ক সার্কেল জুয়েল ইমরান জানান, শহরের আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পৌরসভা উদ্যোগে সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার কাজ শুরু করা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরা সচল থাকলে অপরাধ কম হবে। সেই সাথে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হলে সহজেই অপরাধীকে সনাক্ত করা যাবে। জন-জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।