সারাদেশ ন্যায়,রংপুরের পীরগাছায়তেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রিতে,কথিত নামধারী বিএনপির কর্মী জড়িতো বলে অভিযোগ করেছেন এলাকা- বাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল , ২০২৫ ১৩:৪৩ আপডেট: ২০ এপ্রিল , ২০২৫ ১৩:৪৩ পিএম
সারাদেশ ন্যায়,রংপুরের পীরগাছায়তেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রিতে,কথিত নামধারী বিএনপির কর্মী জড়িতো বলে  অভিযোগ করেছেন এলাকা- বাসী
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদা নগর ইউনিয়নে শল্লার বিল আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর বিএনপির নামধারী কিছু কথিত কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায়

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদা নগর ইউনিয়নে শল্লার বিল আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর বিএনপির নামধারী কিছু কথিত কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায় ।

স্বর জমিনে গিয়ে জানা যায় ঃ বিএনপির কিছু নামধারী ওয়ার্ড কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এলাকা বাসী। অভিযোগকারীরা হলেন, মায়দানের ছেলে ফুল মিয়া,তিনি বলেন আমার বাবা,অন্নদা-নগর রেলস্টেশনের কুলি,আমার মা একজন অটোমেইল চাতাল কর্মী। এবং আমার দুই ভাই দিনমজুর,আমাদের থাকার কোন আশ্রয় নেই কিছু দিন আগে,আমরা যে,রেলের জায়গাটিতে ছিলাম। সেই বাড়িটি রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেন তার পর থেকে আমরা মানুষের বাড়িতে ভাড়া থাকি। লোক-মারফত শুনতে পাই,৪নং অন্নদা-নগর ইউনি- য়নে শল্লার বিলে,গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায়,৩৫০টিঘর নির্মাণ করা হয়ে- ছেঅনেককে ঘর দিচ্ছে,অথচ,আমরা ইউনিয় নের মেম্বার চেয়ারম্যানের নিকট,দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এক- টি ঘর পাইনি। যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারা মূলত ঘর পাচ্ছে। কারণ,তারা টাকা দিয়ে ঘর নিচ্ছে বলে জানা যায়, আর,আমাদেরকে ঘর দেয়া হয়নি, টাকা নেই বলে। অথচ ৫আগস্টে পট-পরি বর্তনের পর থেকে নামে-বেনামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রি করে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এক একটি ঘর দখল স্বত্ত্বে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে বিক্রি করেন, আফাজ উদ্দিন নামধারী বিএনপির ওয়ার্ড কর্মী আর একজন হলেন,সাইড কন্টাক্টর ফালু মিয়া, কলে জের পিছনে যে পাঁচটি ঘর রয়েছে,সেই ঘরের দেয়ালে,ইটের খুশ্রী দিয়ে বিএনপির কিছু কর্মীদের নাম লেখা রয়েছে। যাদের নাম লেখা রয়েছে। তারা হলেন,মোঃ রফিকুল ভাঙ্গারী,দেলোয়ার হোসেন,নয়ন মিয়া,ভুট্টু মিয়া,সারোয়ার হোসেন,ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ বিভিন্ন বিএনপির কর্মীদের নামলেখা রয়েছে। ভক্তভোগী ইউসুফ আলী বলেন,৪টি ঘর বাবদ আমার নিকট থেকে ৳৮০,০০০ টাকা চেয়েছেন নামধারী বিএনপির ওয়ার্ড কর্মী,আফাজ উদ্দিন ও তাহার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন। সাইট কন্টাক্টর ফালুমিয়া। এবং আরো নামধারী বিএনপির কর্মী রয়েছেন বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আরএক ভুক্তভোগী রিনা বেগম বলেন ভূমি- হীন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঘর পাবার আশায়,কিন্তু যাদের জায়গা জমি রয়েছে তারাই ঘর পাচ্ছে। আমরা প্রকৃত ভূমিহীন,তারপরও দ্বারে দ্বারে ঘুরেও আমরা একটি ঘর পাচ্ছিনা। এই দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বিদায় নেওয়ার পরে এখন বিএনপি ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। এই দেশটা কি তাহলে মগের মুল্লুক হয়ে গেল নাকি?জোর যার টাকা যার দেশ তার,এমনটাই বলেছেন বাকি ভূমিহীন ভুক্ত- ভোগী,তারা বানু,রিমনের স্ত্রী,শ্রীমতি রুপালি সহ ব্যবসায়ী পলাশ মিয়া। স্বচ্ছভাবে যদি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়,তাহলে ৩৫০টি ঘর থেকে অনেক ঘর খালি পরে থাকবে। অত্র ইউনিয়ন ছাড়াও,অন্যান্য ইউনিয়ন ভূমিহীনদেরকেও ঘর দিতে পারবে সরকার। তাই সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ভূমিহীন -দের মাঝে ঘর বিতরণ করলে,কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না কেউই। 

উল্লেখো যে ঃ  আগের ১২০টি ঘরের বসবাসকারী সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। যে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক ব্যবসায়ী,মাদক সেবন-কারী ও জুয়ারুদের,উৎপাত অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে যাদেরকে ঘর বিতরণ করবেন। তারা যেন কেউই নেশাকারি ও জুয়ারু না হয়,সেই দিকটা লক্ষ্য করে ঘর বিতরণ করবেন দয়া করে। তা-না-হলে এখানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবেন বলে জানিয়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত অসহায় মানুষ। 

এ বিষয়েঃ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব,মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ইটের খুশ্রী দিয়ে যারা নাম লিখেছে তার বি- এনপির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই এই কাজ করেছে। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তিমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাই কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাবো,যেন সঠিক তদন্ত করে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিতরণ করা হয়। এই প্রত্যাশা করছে- ন অন্নদা-নগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo