পানি নিষ্কাশনে হরিণার বিলে খাল সংস্কার কাজে লাগছে না

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৪ আগস্ট , ২০২৪ ১৫:০১ আপডেট: ৪ আগস্ট , ২০২৪ ১৫:০১ পিএম
পানি নিষ্কাশনে হরিণার বিলে খাল সংস্কার কাজে লাগছে না
এদিকে, পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা হরিণার বিলে খাল সংস্কার শুরু করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যশোরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহওয়া অফিস সূত্র জানায়, দুইদিনে ১২৬ মিলিমিটার মাত্রার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৮৩ মিলিমিটার ও শুক্রবার ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

গত দুই দিনের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে যশোর পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকায় ফের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে নাগরিকেরা। দুই দিনে যশোরে ১২৬ মিলিমিটার মাত্রার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা হরিণার বিলে খাল সংস্কার শুরু করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যশোরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহওয়া অফিস সূত্র জানায়, দুইদিনে ১২৬ মিলিমিটার মাত্রার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৮৩ মিলিমিটার ও শুক্রবার ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

শহর ঘুরে দেখা গেছে, খড়কী, রেলগেট, শংকরপুর বেজপাড়ার তালতলা, চোপদার পাড়া, কবরস্থান পাড়া ও আনসার ক্যাম্প এবং বারান্দীপাড়া সহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত। এসব এলাকায় কোথাও কোথাও গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানি জমেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িতে বন্দি রয়েছে একপ্রকার।

খড়কীর শাহ্ আব্দুল করিম সড়কের বাসিন্দা ও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেলিনা খাতুন জানান, দুইদিনের বৃষ্টিতে তার বাড়ির সামনেরসহ পাশের গলির রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ড্রেনের ওপর দিয়ে হেটে জরুরী কাজে বাইরে বের হতে হচ্ছে।তিনি আরো জানান, চাঁচড়ার যে ড্রেন দিয়ে পানি বের হয় সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দা যশোর সরকারি এমএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক জানান, বৃষ্টিতে কলেজের দক্ষিণ গেটের সামনের রাস্তাসহ পিঠা পার্ক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

বাইরে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। তিনি আরো জানান, তাদের একই সমস্যাটি একটি স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অথচ সমস্যা সমাধানে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।দেখা গেছে, একই অবস্থা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বেজপাড়ার। ওয়ার্ডটির কবরস্থান পাড়া, চোপদার পাড়া ও আনসার ক্যাম্প এলাকায় জলাবদ্ধতা। সেখান মানুষজন পানির মধ্যে বসবাস করছেন।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান ভিটু জানান, পৌরসভা সঠিক ভাবে ড্রেন পরিষ্কার না করায় এই জলাবদ্ধতা। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।একই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা আশরাফুল আজাদ জানান, বৃষ্টি হওয়ায় কবরস্থান পাড়ায় হাঁটু সমান পানি জমে আছে। পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।একই সমস্যা ওই ওয়ার্ডের শংকরপুর রেলগেট এলাকার। এদিকে, ষষ্টিতলা ও রেলরোড এলাকায়ও জলাবদ্ধতা। অথচ গত রোববার থেকে পৌরসভা থেকে হরিণার বিলে খাল সংস্কার শুরু করেছে। কিন্তু সেটাও কোনো কাজে আসছে না।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ বলেন, হরিণার বিলের খাল সংস্কার কাজ শেষ হয়ে গেলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আর জলাবদ্ধতা হবে না। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনের স্কেভেটর দিয়ে ড্রেন থেকে কাদামাটি অপসারণ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খড়কীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে শ্রমিকেরা কাজ করছেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo