রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বনে মহিষ চোর সিন্ডিকেটের এক সদস্য আটক ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৫ মার্চ , ২০২৫ ১৩:৫২ আপডেট: ৫ মার্চ , ২০২৫ ১৩:৫২ পিএম
রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বনে মহিষ চোর সিন্ডিকেটের এক সদস্য আটক  ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা।
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় বুনো মহিষের মাংস নিজেদের মধ্যে ভাগ বারোটার সময়ে হাতেনাতে আটক হয়েছেন মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ইস্রাফিল শিকদার (৩৫)।

পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় বুনো মহিষের মাংস নিজেদের মধ্যে ভাগ বারোটার সময়ে হাতেনাতে আটক হয়েছেন মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ইস্রাফিল শিকদার (৩৫)। উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মেদ শিকদারের ছেলে ইসরাফিলকে প্রায় ৫ কেজি বুনো মহিষের মাংস ও চামড়া সহ সোমবার দুপুরে নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সোনার চর বিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোনার চর বিটে বন বিভাগের মালিকানাধীন বুনো মহিষ এর আগেও স্থানীয় কাইয়ুম শিকদারের ট্রলার যোগে এসে আসামীরা চুরি করার তথ্য রয়েছে। এবারও একই কায়দায় ট্রলার যোগে ১১ জনের একটি চোরের সিন্ডিকেট বনে প্রবেশ করে একটি মহিষ ফাঁদে আটকে জবাই করে পার্শ্ববর্তী চর আন্ডায় আসামিদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে চুরি করা মহিষের মাংস ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে এমন সংবাদ পেলে পুলিশের সহায়তায় ১নং আসামী ইসরাফিল শিকদারকে ৫ কেজি মাংস এবং চামড়া সহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, কামাল শিকদার(৫০), আমজাদ মল্লিক (৩৫), মোহাম্মদ খা (৩৫), কাওসার খান (৩২), মামুন খান (২৪), মো: ইদ্রিস (৬৫), বাদল প্যাসা(৩৬), জাহেদ শিকদার (৪৫), বাবুল হাওলাদার (৪২)। আসামীরা সবাই চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। এবিষয়ে সোনার চরের বিট কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক বলেন, লোকবল সংকট ও দুর্গম বনের গভীরে মহিষ চুরির সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন এদের ধরতে পারিনি। আজ সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে রাঙ্গাবালী পুলিশের সহায়তায় চক্রের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মহিষ চুরিতে ইসরাফিল যাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে শুধু তাদের বিরুদ্ধেই আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমারৎ হোসেন বলেন, বুনো মহিষ চুরিতে জড়িত এই সিন্ডিকেটের ওপর বেশ কিছুদিন নজরদারির পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। আটকৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে বুনো মহিষের মাংসের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং তার সাথে সম্পৃক্ত আরো দশজনের নাম বলেছে। চক্রের সকল সদস্যকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo