রাঙামাটিতে ইয়াবা কারবারিদের হামলায় নাইটগার্ড আহত, পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

মোঃ কামরুল ইসলাম ফয়সাল প্রকাশিত: ১৬ মার্চ , ২০২৫ ১১:৪৭ আপডেট: ১৬ মার্চ , ২০২৫ ১১:৪৭ এএম
রাঙামাটিতে ইয়াবা কারবারিদের হামলায় নাইটগার্ড আহত, পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়
‎রাঙামাটিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন মো. ইসাহাক ভান্ডারি এবং তার পরিবার

‎রাঙামাটিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন মো. ইসাহাক ভান্ডারি  এবং তার পরিবার। গত ১১ মার্চ রাতে রাঙামাটি শহরের হ্যাচারী এলাকায় ব্রিজের মুখে এই হামলার ঘটনা ঘটে ।
‎ভুক্তভোগীর দাবি, তার বাবা ইব্রাহিম একজন নাইটগার্ড । সম্প্রতি তিনি মাদক কারবারিদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তাদের রোষানলে পড়তে হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন শাকিল (দেলু)-এর নেতৃত্বে একদল যুবক পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়।
‎পরিকল্পিত এই হামলায় ইব্রাহিম গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে নূর হোসেন ও তার ভাই-বোন ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নূর হোসেনের ভাইকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
‎হামলার পরপরই ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করে। ঘটনার পরদিন রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। তবে পরিবারের দাবি, গ্রেপ্তারের পর থেকে তাদের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
‎ভুক্তভোগীর পরিবারের নূর হোসেন বলেন, "আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
‎ভুক্তভোগী পরিবার  তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে। দাবী গুলো হলো আহত নূর হোসেনের পরিবারকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
‎উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ মার্চ, দেলোয়ারের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, নদীতে জাল ফেলা নিয়ে বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
‎মূল ঘটনা হচ্ছে- ইয়াবা ব্যবসাকে ধামাচাপা দিতে নদীতে জাল ফেলার মিথ্যা গল্প সাজানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।
‎এই ঘটনার পর রাঙামাটির সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo