হিজাব না পড়ায় আমার চুল কেটে নিয়েছে আমি আর স্কুলে যামুনা বলে কেঁদেই চলেছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা জাহান।
২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার মাইসা জাহান সহ তানজিলা আক্তার,আনীল আক্তার, তাসফিয়া,মাহাদিয়া,সুমাইয়া ও ইফাসগ ১০-১২ হিজাব পড়ে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেয়া হয় বলে জানান তারা।মাইসা জাহান ও তানজিলা আক্তারের বাড়ী সৈয়দপুরে, আনীলা আক্তার ও তাসফিয়ার বাড়ী মোহাম্মদপুরে,মাহাদিয়া ও সুমাইয়ার বাড়ী মধুপুরে, ইফার বাড়ী বাড়ৈখোলা। ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।মাইসা জাহান এই প্রতিবেদককে বলেন,আমার একটাই হিজাব।ঐ হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে তাই ধুয়ে দিয়েছি এজন্য পড়ে যেতে পারিনি।ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বলেও আমি রক্ষা পাইনি ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিছে।তাই আমি আর স্কুলে যামু না।
মাইসা জাহানের পিতা কহিনুর বলেন, আমার মেয়ে অন্যায় করেছে বললেই হত আমরা শাসন করতাম।তাকে চুল কেটে ন্যাড়া বানিয়ে দিল।তাই আমার মেয়েটা ভেঙ্গে পড়েছে ও আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন,বর্তমান সভাপতি ইঞ্জিনিয়র মোঃগোলাম হোসেন সাহেব সভাপতি হওয়ার পর ছেলে মেয়েদের ড্রেসকোড চেঞ্জ করেছে এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষকদের খুব চাপে রাখেন এবং এ বিষয়ে যে কোন এ্যাকশন নিতে বলেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে মোবাইলে পাওয়া যায় নি।সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মোঃ ফরিদ বলেন, কাজটা অন্যায় করেছে,আমরা ব্যবস্থা নিব।সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন,আমরা ঘটনা জেনেছি,স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করছি।অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।কাল সরেজমিনে গিয়ে দেখব।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।