বড়াইগ্রামে ৬ শতাংশ জমির দখল নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর দেয়া টিনের বেড়া ভাংচুর ও পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলনের ঘটনাও ঘটেছে। সোম ও মঙ্গলবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষই ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন। এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে লক্ষীকোল শিব ও কালী মন্দিরের পেছনের ৬ শতাংশ জমির দখল নিয়ে স্থানীয় জুয়েলারী ব্যবসায়ী বিজয় দাসের সাথে মন্দির কমিটির দ্বন্ড বাধে। এক পর্যায়ে গত রোববার মন্দির কর্তৃপক্ষ বিবাদমান জমিতে দেয়া টিনের বেড়ার কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় উভয় পক্ষে লোকজন জড়ো হলে ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয় কুমার দাস বলেন, আমি মন্দিরের পাশে জমি কিনে নামজারি করে দুই বছর ধরে ভুমি উন্নয়ন কর দিচ্ছি। তাছাড়া আমার জমি আর মন্দিরের জমিও এক নয়, আবার মন্দিরের ঘরসহ জমি কিনেছি সে তথ্যও সঠিক নয়। কিন্তু কিছু মানুষ ভুল তথ্য ছড়িয়ে কমিটির সদস্যদের উস্কে দিয়ে আমার বাড়ি নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। তারা টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলেছে, আমার এবং আমার স্বজনদের উপর হামলার চেষ্টা করেছে। আমি নিজের জমিতে ঘর তোলার সুযোগসহ জীবনের নিরাপত্তা চাই।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা চলমান থাকায় উভয় পক্ষকেই শান্ত থেকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলেছি। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সজাগ আছি।